• দার্জিলিং বনবিভাগের কোয়ার্টারে আগুন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩১ জুলাই ২০২৫
  • দার্জিলিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল বন বিভাগের কাকঝোরা রেঞ্জের ৮টি স্টাফ কোয়ার্টার। বুধবার রাতের এই ঘটনায় গোটা পাহাড়জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং টেরিটোরিয়াল ডিভিশনের অন্তর্গত কাকঝোরা রেঞ্জের একটি খালি কোয়ার্টারে বুধবার রাতে আচমকা আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের কোয়ার্টারগুলিতে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দা ও বনকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দার্জিলিং দমকল কেন্দ্রের তিনটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

    ততক্ষণে অবশ্য বন বিভাগের আটটি পুরনো কাঠের স্টাফ কোয়ার্টার প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কার্যালয়ের একাংশও। তবে বড় ধরনের কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বন আধিকারিকদের অনুমান, আগুনে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশন, দার্জিলিং চিড়িয়াখানা সহ বন দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকেরা। তবে কীভাবে এই ভয়াবহ আগুন লাগল, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছে দপ্তর। ওই আবাসনে পাঁচটি পরিবার থাকত। তাঁদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি বলেন, ‘কাকঝোরা স্টাফ কোয়ার্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮টি কোয়ার্টার সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’ উল্লেখ্য, শৈলশহরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে বন বিভাগের এই ধরনের পরিকাঠামোরত নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের তরফে।

    দার্জিলিংয়ে বন দপ্তরের আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফিরল হলং বাংলোর স্মৃতি। প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বাংলোতে আগুন লাগে। ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিক ধারণা ছিল, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড। জুন মাসে এক রাতে আগুন ধরে যায় ঐতিহাসিক ওই বনবাংলোটিতে। কাঠের ঘর অল্প সময়েই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। বনকর্মীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কাঠের তৈরি গোটা বাংলোটিই ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালে তৈরি এই বনবাংলোটি রাজ্য বন দপ্তরের অন্যতম মহার্ঘ সম্পত্তি ছিল।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)