• চা বাগান খোলা, নেই মালিক জমা হচ্ছে না পিএফ-গ্র্যাচুইটি, আজ শ্রমদপ্তরে স্মারকলিপি দিচ্ছে সিটু
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: অদ্ভুত চিত্র আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের কোহিনুর চা বাগানে। বাগান খোলা আছে। অথচ মালিক নেই। বন্ধ ফ্যাক্টরিও। শুধু পাতা তুলে বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছেন এক কাঁচা চা পাতা ব্যবসায়ী। পাতা তোলার বিনিময়ে শ্রমিকরা দৈনিক ২৫০ টাকা করে মজুরি পাচ্ছেন। এই পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, মালিক না থাকায় শ্রমিকদের পিএফ, গ্র্যাচুইটির টাকা জমা হচ্ছে না। কারণ মালিকের কোড না থাকলে পিএফ- গ্র্যাচুইটির টাকা জমা হবে না। এই সমস্যার জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাগানের অবসর নেওয়া শ্রমিকদের। অবসরপ্রাপ্তরা পিএফ-গ্র্যাচুইটির টাকা তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ।

    কোহিনুর চা বাগানের শ্রমিকদের এই সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে আজ, সোমবার সিটু নেতৃত্ব জলপাইগুড়িতে পিএফ কমিশনারের অফিসে স্মারকলিপি দেবে। অন্যদিকে, শ্রমদপ্তর এই সমস্যার দিকে নজর রেখে চলেছে।

    শ্রমদপ্তরের আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি লেবার কমিশনার গোপাল বিশ্বাস বলেন, আমরা বসে নেই। কোহিনুর চা বাগানের শ্রমিকদের এই সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।

    এই বাগানের শ্রমিক সংখ্যা ৮৮৮। শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পুজোর বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে তৎকালীন মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করে দেয়। পরে তাঁরা অন্য একটি সংস্থাকে এক বছরের জন্য বাগানের দায়িত্ব দিয়েছিল। এক বছর চলার পর সেই সংস্থাও বাগানের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠক করে এক কাঁচা চা পাতা ব্যবসায়ী শ্রমিকদের শুধু মজুরি দেওয়ার বিনিময়ে বাগানে পাতা তুলছেন। 

    সিটুর আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ গুণ বলেন, শুধু মজুরি পেলে তো শ্রমিকদের চলবে না। মালিক না থাকায় শ্রমিকদের পিএফ-গ্র্যাচুইটির টাকা জমা হচ্ছে না। যিনি পাতা তুলছেন, তিনি তো আর মালিক নন। সোমবার কোহিনুরের শ্রমিকদের এই সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি পিএফ কমিশনারের অফিসে আমরা স্মারকলিপি দেব। তারপরেও কাজ না হলে শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় নামব।
  • Link to this news (বর্তমান)