• কোচবিহারে শতাব্দী প্রাচীন মদনমোহনের রথের প্রদর্শনীর দাবি
    বর্তমান | ২৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের রথ এবার নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। সেই রথে চেপেই এবার মদনমোহন মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন। আগের শতাব্দী প্রাচীন রথটি গুঞ্জবাড়ি মন্দিরেই রাখা ছিল। এবার সেটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। শতাব্দী প্রাচীন রথটিকে ভালো করে ত্রিপল দিয়ে মুড়ে গুঞ্জবাড়ি মন্দিরেই রাখা হয়েছে। তবে, আগামী প্রজন্মের জন্য রাজ আমলের এই রথটিকে প্রদর্শনীর জন্য কোনও জায়গায় রাখা যায় কি না, তা নিয়ে অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে, বিভিন্ন মহল থেকেই এই অতি প্রাচীন রাজ আমলের রথটিকে সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রদর্শনীর দাবিও উঠতে শুরু করেছে।

    কোচবিহারের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকি বলেন, রাজ আমলের রথটিকে সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। গুঞ্জবাড়ি, খাসমহল বা শ্রী শ্রী আনন্দময়ী ধর্মশালা প্রভৃতি জায়গায় শতাব্দী প্রাচীন রথটিকে রাখা যেতে পারে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রথটিকে দেখতে পারবেন। এটি ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে থেকে যাবে।

    কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,আমরা মদনমোহনের পুরনো রথটিকে ভালোভাবে মুড়িয়ে রেখেছি। সেটি সংরক্ষণের জন্য যা যা প্রয়োজন, অর্থাৎ রাখার জায়গা ইত্যাদি বিষয়ে দপ্তরকে জানানো হবে।

    মহকুমা শাসক জানান, এই বিষয়ে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি অনেক বড় রথ। রাখতে গেলে জায়গা, শেড, নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। এরপর ফান্ড পাওয়া গেলে তবে সেটা করা যাবে। বিভিন্ন প্রস্তাব আসছে। সব দিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হবে।

    কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের পুরনো রথটি রাজ আমলে নির্মিত। আগে সেটিকে সারিয়ে রথের সময় চালানো হতো। কিন্তু সেটা ব্যয় সাপেক্ষ ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে এবার নতুন রথ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে বিশাল শাল ও সেগুনের গুঁড়ি নিয়ে এসে তা চেরাই করিয়ে রথ বানানো হয়। সেই নতুন রথে চেপেই এবার মদনমোহন মাসির বাড়ি গিয়েছেন ও ফিরে এসেছেন।

    কিন্তু রাজ আমলের পুরনো রথটির কী হবে? কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই পুরনো রথটিকে ঐতিহ্য রক্ষার্থে ভালো একটি জায়গায় প্রদর্শিত করার দাবি উঠছে।
  • Link to this news (বর্তমান)