অংশুপ্রতিম পাল, খড়্গপুর: খড়্গপুর আইআইটিতে ফের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল। রাতে ওষুধ খাওয়ার সময় শ্বাসনালীতে ট্যাবলেট আটকে যায় বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত্য ছাত্রের নাম চন্দ্রদীপ পাওয়ার (১৯)। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের খান্ডারওয়ালে। পুলিশ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে একের পর এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য বাড়ছে। দিন কয়েক আগেই ক্যাম্পাসের হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ।
জানা গিয়েছে, চন্দ্রদীপ পাওয়ার খড়্গপুর আইআইটির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। ক্যাম্পাসের হস্টেলের ঘরেই তিনি থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডাক্তারের পরামর্শমতো তিনি ওষুধপত্র নিচ্ছিলেন। গতকাল, সোমবার রাতে সেই ওষুধ খাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই একটি ট্যাবলেট তাঁর শ্বাসনালীতে আটকে যায় বলে অভিযোগ। তাঁকে দ্রুত ঘর থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বিসি রায় কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কর্তব্যরত ডাক্তাররা চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি বলে খবর।
ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারকে দুঃসংবাদ জানানো হয়েছে। ওই ছাত্রের বাবা-মা ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। দিন কয়েক আগেই ক্যাম্পাসে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল রিতম মণ্ডল নামে চতুর্থ বর্ষের ছাত্রের মৃতদেহ। প্রসঙ্গত দেশে পরপর পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। খড়্গপুর আইআইটি ও নয়ডার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্টও তলব করেছে আদালত। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু গলদ রয়েছে এই মর্মে মামলা দায়ের করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।