• মঞ্চে অসুস্থ শতাব্দী-মদন-শত্রুঘ্ন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • ২১ জুলাই দিনটি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে এই বছরের সমাবেশ অন্যবারের চেয়ে একটু হলেও আলাদা ছিল। প্রতিবার মেঘলা আকাশের তলায় বৃষ্টিস্নাত অবস্থাতেই গর্জে ওঠেন দলনেত্রী। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও বৃষ্টি মাথায় করেই মঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচীর সূচনা করেন। কিন্তু এই বছর আবহাওয়ার যেন অন্য মেজাজ। রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও সোমবার সকাল থেকেই চারিদিক একেবারে শুকনো খটখটে ছিল। মেঘের বালাই তো ছিলই না উপরন্তু চাঁদিফাটা রোদ্দুরে নাকাল অবস্থা হয়েছিল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদেরও।

    জানা গিয়েছে, এদিন একুশের মঞ্চতে প্রবল দাবদাহের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র। অ্যাম্বুল্যান্স করে তাঁদের সভামঞ্চ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রত্যেকেই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। তিনজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিধায়ক মদন মিত্রকে বেশ অনেকটা সময়েই হাসপাতালে রাখা হয়।

    প্রতিবারের মতই মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলার মঞ্চ থেকে আগামী দিনের দলের লড়াই নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই বক্তব্য শুনতে ভিড় জমিয়েছিলেন। দলের বিভিন্ন কর্মীরাও এদিন শহীদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় অসুস্থ থাকলেও একুশের মঞ্চে প্রথমে তাঁকে হাসিমুখেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু প্রবল রোদ এবং আর্দ্রতার কারণে পরবর্তীকালে তিনি ফের অসুস্থ বোধ করেন। একইসঙ্গে অসুস্থ বোধ করেন শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, মদন মিত্রও। কাছাকাছি মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হলেও তাঁদের নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি বলেই জানা গিয়েছে। মূলত গরমের কারণেই তাঁদের শরীর খারপ করে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দলের অসুস্থ সদস্যদের খোঁজ নিয়েছেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)