• বাংলার অপমান করছে তৃণমূল, অনুপ্রবেশ নিয়েও মমতাকে তীব্র আক্রমণ শমীকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জুলাই ২০২৫
  • তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের পর নতুন মাত্রা পেয়েছে বাংলা ও বাংলাভাষীদের নিয়ে রাজনীতি। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সুর। আর এদিন ধর্মতলার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে তাঁকেই অভিযুক্ত করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার বিকেলে দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের আমরা তাড়াবই।

    এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘মঞ্চ থেকে বলা হয়েছে জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ হয়েছে। কারণ এখানে বিজেপির সরকার আছে। যারা হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেয়। কোর্টের নির্দেশেই ওখানে যে অব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল যে ভাবে একটি লাইন থেকে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাই কাটা হয়েছে।’

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে শমীকবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বন্দেমাতরমকে আক্রমণ করেছেন। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টিকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের যে হিন্দু সাংসদরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী না কি ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছেন। বেকারত্ব কমেছে কী ভাবে? চপ শিল্প, চায়ের দোকানকে MSMEর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিসংখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে। কত পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে কেন ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন? সামান্যতম আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবকরা তাকে ভিনরাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কেন বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা? ১৪ লক্ষ ৬০ হাজার ছেলে মেয়ে কেন সেখানে চাকরি করছে? তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে?’

    এর পরই অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘যারা একসময় এদেশ ছেড়ে ওদেশে চলে গিয়েছিলেন তারা আবার ফিরে আসছেন। যারা এই দেশটাকে দার ইল হর্ব বলতেন, নাপাক বলতেন, যারা ওপারে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে আবার এখানে এসে ঢুকছেন, আমরা তাদের চিহ্নিত করতে চাই। তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। সিপিএমের সময় থেকে যে ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছে, রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, খাস জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই একই পথ অনুসরণ করে সেটাকে আরও কদর্যভাবে তৃণমূল কংগ্রেস বাস্তবায়িত করতে চাইছে। রোহিঙ্গাদের ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় বস্তিতে বসানো হয়েছে। কলকাতার ভিতরে বসানো হয়েছে। বিধাননগরে বসানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় রোহিঙ্গাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল সেখানকার কক্সবাজারের আজ কী অবস্থা। ওপারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন আর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় সংখ্যালঘুরা উৎসব পালন করছে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)