• বাংলায় ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা! পেলেন কোথায়? অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ‘ব্যর্থ কেন্দ্র’কে তোপ মমতার
    প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় অনুপ্রবেশ নিয়ে কুৎসা শুরু করেছে বিজেপি। অভিযোগ করা হচ্ছে, ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাস করছে পশ্চিমবঙ্গে। একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপির এই অভিযোগের পালটা সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পালটা তোপ দেগে মমতার প্রশ্ন, রাষ্ট্রসংঘ বলছে সারা পৃথিবীতে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লক্ষ। তাহলে বাংলায় ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা কোথায় পেলেন বিজেপি নেতারা? শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশ ও দেশজুড়ে বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী। বৃহত্তর পরিসরে আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি।

    বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন বা SIR শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে তালিকা থেকে। এই ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “একটা নোটিফিকেশন লুকিয়ে বানিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাঠিয়ে বলা হয়েছে যাকেই সন্দেহ হবে, বাংলায় কথা বলে, তাঁকে অ্যারেস্ট করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে এক মাস।” বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে হাজার হাজার বাংলাভাষী মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “বাংলা ভাষার ওপর বিরাট সন্ত্রাস চলছে, ওরা বলছে বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না, কে মাছ খাবে, ডিম খাবে ওরা ঠিক করে দিচ্ছে। বাংলা এসব মানবে না, সব মানুষের অধিকার এখানে সুরক্ষিত করা হবে।” একই সুরে বলেন, “বিজেপির এক নেতা বলছে, বাংলায় নাকি ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। সারা পৃথিবীতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কত? ইউএন বলছে দশ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। কোথায় পেলেন ১৭ লক্ষ?”

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মোদি সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার অনুপ্রবেশের দায় বাংলার সরকারের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছে বিজেপি। সে প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। যারা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাহলে সেখান থেকে যদি কেউ অনুপ্রবেশ করে তাহলে তার দায় কীভাবে রাজ্য সরকারের হয়। যদি অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে তবে সেটা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা বিএসএফের ব্যর্থতার জন্য।

    বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষীদের উপর যে সন্ত্রাস চলছে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে নতুন করে ভাষা আন্দোলনের বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে কেন? বাংলা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। নবজাগরণ হয়েছে বাংলা থেকেই। বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য বাইরে গ্রেফতার করা হয় এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। আমি কিন্তু ছাড়ার লোক নেই। মনে আছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা? দরকারে আবার ভাষা আন্দোলন শুরু হবে।’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, “২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বাংলা ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল করুন। প্রতিবাদে নামুন। এ বার শুরু হল ভাষারক্ষার শপথ।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)