এবারের ব্রিগেডে রেকর্ড ভিড় হয়েছে। এতে ১০টা ব্রিগেড হয়ে যাবে। রেড রোডেই একটা ব্রিগেড। আমার সামনে একটা ব্রিগেড, পিছনে একটা ব্রিগেড। একুশের সভামঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘বিজেপির চক্রান্ত তো চলছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। মানুষের কথা বলে না তারা। নির্বাচনের আগে প্রথম সার্কুলার ভারত সরকার পাঠিয়েছে। এক হাজারের উপর লোককে কাউকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।’
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘কেন্দ্রের বঞ্চনার সত্ত্বেও তাঁর সরকার বাংলার মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক জনহিতকর প্রকল্প রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আবাস প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মস্থানের উন্নতিকল্পে কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমরা কয়েক বছরে ৪০ শতাংশ বেকারত্বের হার কমেছে। বিজেপি যেখানে ২ বলেছিল ২ কোটি করে চাকরি দেবে, তা তারা দিতে পারেনি।’
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘বাংলায় কথা বলতে ভয় পান আপনারা। বাংলা রবন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলের জন্ম দিয়েছে। বাংলা থেকেই লেখা হয়েছে,জাতীয় সঙ্গীত। মতুয়া ভাইদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কী জবাব দেবে তার বিজেপি? যখন ওড়িশায় ছাত্রীর সম্মাননষ্ট হল, যখন ওড়িশার রাস্তায় ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরানো হয়, তার উত্তর কে দেবে? উত্তর দিতে হবে।’
আগামী দিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বিহারে ৪০ লক্ষ মানুষকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও করতে চাইছে। এটা করলে আমরা ঘেরাও কর্মসূচি করব। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না। গোটা বাংলা জুড়ে ঘেরাও কর্মসূচি হবে। এই সংগ্রাম সে দিন শেষ হবে, যে দিন দিল্লিতে রাজনৈতিক পরিবর্তন করে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারব।’
মমতা বলেন, ‘বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে কেন? বাংলা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। নবজাগরণ হয়েছে বাংলা থেকেই। বাংলার মাটি দুর্বৃত্তদের হবে না। বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য বাইরে গ্রেফতার করা হয় এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। আমি কিন্তু ছাড়ার লোক নেই। মনে আছে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কথা?’ তিনি আরও বলেন, ‘দরকারে আবার ভাষা আন্দোলন শুরু হবে।’