সোমবার ২১ জুলাইয়ে শহীদ দিবসের সমাবেশ। তার দুই দিন আগেই বীরভূমে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে এই জেলার মল্লারপুরের বিষিয়াগ্রামে। মৃতের নাম বাইতুল্লা শেখ। তাঁর বয়স চল্লিশ বছর। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। ওই নেতাকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার রাতে আচমকা এই খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল এক বাহিনী। ঘটনার পর ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচদিন আগে সাইথিয়া থানা এলাকায় তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষও খুন হয়েছিলেন। মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে জেলায় দুই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় সিপিএম-এর উপর দশ চাপিয়েছেন মযূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই কাজ সিপিএমের হার্মাদবাহিনী করেছে। তিনি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইতুল্লা শেলজ এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত মুখ। বিষিয়াগ্রামে ওই তৃণমূল নেতার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। এদিন রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তখন তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে এলাকারই একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলছিলেন। সেই সময় আশপাশ থেকে বেশ কয়েকজন লোক ওই দোকান ঘিরে ফেলেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি বোমা মারে। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর আততায়ীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।