• কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় তিন পুলিশকর্তা-সহ চার জনের জেল হেফাজত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। শুক্রবার সেই মামলায় বড় পদক্ষেপ করল ব্যাঙ্কশাল আদালত। তিন পুলিশ কর্তা ও এক কর্মীকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসি অর্থাৎ তৎকালীন নারকেলডাঙার ওসি শুভজিৎ সেন এবং খুনে সাহায্যকারী সুজাতা দে’র জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তৎকালীন এসআই রত্না সরকার এবং হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    শুক্রবার এই মামলার শুনানিপর্বে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘রক্ষকই ভক্ষক হয়ে গেলে সমাজের কী হবে।’ ঘটনার পর নিহত অভিজিৎ সরকারের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে না জানিয়ে পুলিশকর্তা শুভজিৎ সেন কেন যোগাযোগ করেছিলেন?

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী সেই হিংসায় খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পরেই অভিজিৎকে গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। প্রথমে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত চালালেও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশের থেকে তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এই মামলায় পুলিশ প্রথমে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে সিবিআই। তাতে মোট ২০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, যাদের মধ্যে ১৫ জনের নাম পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটেও ছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় গত ২ জুলাই। সেখানে অভিযুক্তের তালিকায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম রয়েছে। রয়েছে শুভজিৎ ও রত্না দে’র নামও।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)