হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ রাজ্যের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৮ জুলাই ২০২৫
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কোনও হেলদোল নেই। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কার্যত নীরব কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলার বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠকে সরব হলেন রাজ্যের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আগামী ১ আগষ্ট থেকে বাংলায় একশো দিনের কাজ শুরুর ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেবিষয়ে রাজ্য জানতে চাইলেও কেন্দ্রের তরফে কোনও জবাব মেলেনি।
এদিকে বাংলার প্রাপ্য টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তিনি বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র এইভাবে বাংলার গতিরোধ করতে পারবে না। রাজ্যের এই মন্ত্রী দাবি করেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্পে অগ্রগতি হবেই।
এদিন প্রদীপবাবু বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজ্যে মনরেগা প্রকল্পে লাগামছাড়া দুর্নীতি চলছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতে মনরেগা প্রকল্পে ৭৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সেখানকার মন্ত্রী, তাঁর দুই ছেলেও গ্রেপ্তার হয়েছে। আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য বিহারেও ১৫ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। কোথাও কাজ বন্ধ বা টাকা আটকে রাখা হয়নি। অথচ বাংলার মাত্র পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বছরের পর বছর টাকা আটকে রাখা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে দীর্ঘদিন। এই নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বহু বছর ধরেই টানাপোড়েন চলছে। তার মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে এই দুই প্রকল্প-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের একাধিক প্রকল্পের কাজ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। এই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব পি উলগানাথন। সোমবার প্রথমদিনের বৈঠকে রাজ্যস্তরের সচিবদের বলার সুযোগ না থাকলেও মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে দেশের বহু রাজ্যের সচিবরা তাঁদের বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। তবে বাংলা একেবারে শেষের দিকে থাকায় উলগানাথন সেই সুযোগ পাননি। বৈঠকের শেষ দিনে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। তবে, কেন্দ্রের তরফ থেকে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ চালু করার বিষয়ে কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায় নি।