চিকিৎসা করাতে এসে ব্যান্ডেল থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি তরুণ, তীব্র চাঞ্চল্য ...
আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসা করাতে এসে ব্যান্ডেল থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি তরুণ! জানা গেছে নিখোঁজ তরুণের নাম নিলয় সাহা (১৯)। বাংলাদেশের শরিয়তপুর জেলার পালং থানার গঙ্গানগর গ্রামে বাড়ি তাঁর।
কলকাতার ঠাকুর পুকুর ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসা করাতে আসেন ওই তরুণ। ব্যান্ডেলের কেওটা নবপল্লীতে ওই যুবকের দিদির বাড়ি। গত ২ জুলাই সেখানেই এসে উঠেছিলেন ওই যুবক। তাঁর পাসপোর্ট সহ বাংলাদেশের যাবতীয় নথিপত্র পরে রয়েছে দিদির বাড়িতে। জানা গেছে, ওই যুবক মঙ্গলবার দুপুরে দুই দিদির সঙ্গে গোপীনাথপুর ঠাকুর বাড়িতে যান। উদ্দেশ্য ছিল মানসিকের পুজো দেওয়ার। সেখান থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবক।
জানা গিয়েছে, গত বৈশাখ মাসে প্রথমবার চিকিৎসার জন্য দিদির বাড়ি এসেছিলেন ওই যুবক। ক্যান্সার আক্রান্ত যুবকের বাঁ পা বাদ দিতে হয় তখনই। বর্তমানে ক্রাচ নিয়ে হাঁটাচলা করেন ওই যুবক। এই অবস্থায় ওই যুবক কোথায় গেল? কি হল? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর আত্মীয়রা।
আত্মীয়দের দাবি, এখানকার পথঘাটও খুব একটা চেনা জানা নয় ওই যুবকের। ট্রেনে উঠে ওই যুবক অন্যত্র চলে গেল কিনা সেটা জানতে ব্যান্ডেল জিআরপি থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়েছে। বুধবার চুঁচুড়া থানাতেও নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ বাংলাদেশি তরুণের জামাইবাবু শঙ্কর নাগ।
প্রসঙ্গত, বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। তার প্রতিবাদে বুধবার কলকাতা কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জিও। জানা গেছে, জেলায় জেলায় হবে এই প্রতিবাদ মিছিল।
এই আবহে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে ব্যান্ডেল থেকে নিখোঁজ হলেন এক বাংলাদেশি! যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে, মিছিল শেষে ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে কার খাদ্যাভ্যাস কী হবে তা নিয়ে হস্তক্ষেপ নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মমতা। সভা থেকে বলেন, “কে কী খাবে আপনি ঠিক করবেন? যা ইচ্ছা বলে যাচ্ছে, যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে।’
ধর্মতলার সভা থেকে মমতা ব্যানার্জি বিজেপিকে বিঁধে বলেন, ‘লজ্জা নেই। কে শিঙাড়া খাবে, সামোশা খাবে, জিলিপি খাবে, পোহা খাবে, হালুয়া খাবে, অমৃতি খাবে আপনি ঠিক করবেন? নাক গলানোর মাস্টার, ওস্তাদ হয়ে গিয়েছে। বড় নেতার চেয়ে বেশি হয়ে গিয়েছে ছোট নেতাগুলো। যা ইচ্ছা বলে যাচ্ছে, যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে।’ মমতা এও বলেন, ‘সব ভাষাকেই সম্মান করি। কিন্তু বাংলা ভাষা ও বাংলার অসম্মানকে বরদাস্ত করা হবে না।’ মমতার কথায়, ‘আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি। যারা ভারতের নাগরিক, তাঁদের সকলকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু বাঙালির অপমান মানব না। অত্যাচার সহ্য করা হবে না।’ বিজেপি বরাবর বিভেদের রাজনীতি করে, ভাষা বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিশানা করেন। বাংলায় বহু ভাষাভাষির মানুষ বাস করেন। দেশের সব ভাষা ও মানুষদের বাংলা সম্মান করে। কিন্তু কোনওভাবেই বাংলা ভাষার অসম্মান মেনে নেওয়া যাবে না। ভিনরাজ্যে বাঙালির অপমান মেনে নেওয়া হবে না। এদিন স্পষ্ট এই বার্তা দিয়েছেন মমতা। বাংলায় ভাষার সাম্যবাদ আছে। এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপিকে ভাষা সাম্যবাদের পাঠ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।