• কলকাতা থেকে সরানো হচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্কের নানা দফতর! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল নাগরিক সংগঠন
    আনন্দবাজার | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের (এসবিআই) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর। একে সরাসরি বাংলার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলেছে নাগরিক সংগঠন ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’। এ বিষয়ে ‘জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ’ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।

    বিশ্ব জুড়ে স্টেট ব্যাঙ্ক বিদেশি মুদ্রার যে লেনদেন করে, তার ব্যাক অফিসের কাজ হয় কলকাতার গ্লোবাল মার্কেটস ইউনিট (জিএমইউ) থেকে। এ বার সেটি এই শহর থেকে মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করতে চলেছেন এসবিআই কর্তৃপক্ষ। ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’ অভিযোগ তুলেছে, এর ফলে বাংলার স্বার্থ গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০১৫ সালে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্য থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ জিএমইউ দফতরটি কলকাতায় এনেছিলেন। জিএমইউ সরিয়ে নিলে রাজ্যের আর্থিক কর্মকাণ্ডের উপরে আঘাত আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    শুধু জিএমইউ নয়, মঞ্চের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্কের আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ‘সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেল’ সরছে কলকাতা থেকে। এগুলি হল ‘লায়াবলিটি সেন্ট্রাল প্রসেসিং সেন্টার’ (এলসিপিসি), ‘সেন্ট্রালাইজড ক্লিয়ারিং প্রসেসিং সেন্টার’( সিসিপিসি) এবং ‘সেন্ট্রালাইজড পেনশন প্রসেসিং সেন্টার’ (সিপিপিসি)। বস্তুত, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে স্টেট ব্যাঙ্কের ব্যবসার কাজ চালানোর ক্ষেত্রে কলকাতার গুরুত্ব ধাপে ধাপে কমানো হয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনের।

    মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে ‘বাঁচাও মঞ্চ’ লিখেছে, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের এই স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ সরাসরি ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি এবং কর্মকর্তা ও কর্মী ফেডারেশনের মধ্যে জিএমইউ সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।’’ এর আগে কলকাতা থেকে একে একে সরানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বেশির ভাগ কাজ, সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টস অফিস, কর্পোরেট অফিস, সেন্ট্রাল স্টেশনারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর। জিএমইউ-এর যাতে সেই পরিণতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছে ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ’।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)