• মাত্র ৩ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়, তছনছ হয়ে গেল রায়দিঘির একাধিক গ্রাম, মাথায় হাত ৩০ পরিবারের ...
    আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। ভারী বৃষ্টির মাঝেই হঠাৎ ঝড়। আর তাতেই তছনছ হয়ে গেল পরপর ৩০টি বাড়ি। মাথায় হাত বাসিন্দাদের। ভরা বর্ষায় এহেন দুর্ভোগে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। যদিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।‌

     মাত্র তিন মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়।আর তার জেরে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার দু'টি গ্রাম। ভাঙল একাধিক বাড়ি। বড় বড় গাছ উপড়ে ভেঙে পড়ল বহু জায়গায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার। 

    ঝড়ের পরই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কাজে নেমে পড়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসন। নিম্নচাপের জেরে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও সোমবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর এদিন সকাল থেকেই ফের প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ন’টা নাগাদ রায়দিঘির দু'টি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেল ঝড়। 

    অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালেই প্রাত্যহিক কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন রায়দীঘির কুমড়োপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের  গায়েনের ঘেরি ও কুমড়োপাড়া দুই গ্রামের বাসিন্দারা।সে সময় ওই ঝড় বয়ে যায়। মিনিট তিনেকের ওই ঝড়ে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে পুরো এলাকা। ঝড়ের বেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি। 

    আরও পড়ুন: 'চারটে বউ না থাকলে, আর কিসের পুরুষ মানুষ!', মৌলানার বার্তায় হাততালি দিলেন সকলে, তাজ্জব নেটিজেনরা

    বহু বাড়ির টালির চাল ভেঙে পড়েছে। টিন ও অ্যাসবেসটরের চাল উড়ে গেছে। বহু বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের তীব্রতায় ভেঙেছে বহু বিশালাকার গাছ। গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে একাধিক জায়গায়। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎহীন। গাছ পড়ে বহু রাস্তা আটকে পড়ে। ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। 

    আর এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়দিঘি থানার পুলিশ, মথুরাপুর ২ নং বিডিও মহম্মদ নাজির হোসেন, রায়দিঘির বিধায়ক ডাঃ অলক জলদাতা। মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও মহম্মদ নাজির হোসেন বলেন, ঝড়ের প্রভাবে দু'টি গ্রামের ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েতকে ত্রাণ, শুকনো খাবার, ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রিপল, ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করেছে বিদ্যুৎদপ্তরের কর্মীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে গাছ কাটার কাজ চলছে। রাস্তা পরিষ্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। ঝড়ের প্রভাবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। 

    এদিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে রায়দীঘির বিধায়ক ডাঃ অলক জলদাতা বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আমি সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে দেখলাম। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আপৎকালীন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রিপল, শুকনো খাবার, জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে। এর পরে পরবর্তী পদক্ষেপ কীভাবে নেওয়া যায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে কীভাবে সহায়তা করা যায় দেখছি।' 

    এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ১৭ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ। অর্থাৎ এদিনের ঝড়ের পরেও দুর্ভোগ কমবে না দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
  • Link to this news (আজকাল)