গোবিন্দ রায়: এসএসসি’র নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ। সোমবার তিনপক্ষের (রাজ্য, কমিশন ও চাকরিপ্রার্থী) বক্তব্য শোনে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে স্থগিত রাখা হয়েছে রায়দান।
সুপ্রিম নির্দেশ মানা হয়নি। এই অভিযোগে এসএসসির (SSC) নয়া বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ হাই কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, কোন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত হবে সেটা চাকরিপ্রার্থীরা ঠিক করতে পারেন না। রাজ্যের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই যে ২০১৬ সালের বিধি অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে। কমিশনের কাছে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তিনটি বিধি আছে। ২০১৬ সালের বিধি, ২০১৯ সালের বিধি এবং ২০২৫ সালের বিধি। যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হোক না কেন, সেটা পড়ুয়াদের ভালোর কথা চিন্তা করেই। ফলে, কমিশন যদি পড়ুয়াদের স্বার্থে ২০২৫ সালের বিধিকে উপযুক্ত বলে মনে করে তাহলেও কোন চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তুলতে পারেন না।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, যে কেউ বিধি চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। আগে দেখতে হবে তো যে তিনি কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। কমিশনের আইনজীবী আরও বলেন, “এই সব মামলার কারণে কয়েক বছর ধরে নতুন নিয়োগ করাই যাচ্ছে না। নতুন প্রজন্মকেও কাজের সুযোগ দিতে হবে। যদি আগের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় থাকা ব্যক্তিরা যোগ্য হন তাহলে ভয় কীসের? প্রতিযোগিতায় নামুন।” কমিশনের যুক্তি, “কমিশনের অধিকার রয়েছে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ করার।” তাঁদের প্রশ্ন, ১৮০০ ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বাকিরা যে যা নম্বর পাবে তাকেই নিয়োগপত্র দিতে হবে? কেউ যদি ১০-১২-১৫ পায় তাঁকেও নিয়োগ পত্র দিতে হবে?
এদিকে চাকরিহারাদের আইনজীবীর কথায়, “বিধি সংশোধন করবেন কি না, সেটা এসএসসির বিষয়। কিন্তু ওদের ভুলের কারণেই এই জটিলতা। এখন ইচ্ছাকৃত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করছে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলে দেয়নি নতুন নিয়োগ শুরু হলে যোগ্যতামান বদল করতে পারবে এসএসসি।” তিনপক্ষের যাবতীয় যুক্তি শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।