বিয়ের ৫ মাসেই সব শেষ! ঘর থেকে উদ্ধার বধূর দেহ, আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু?
প্রতিদিন | ১৫ জুলাই ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই বধূর মর্মান্তিক পরিণতি। ঘর থেকে উদ্ধার বধূর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হুগলির বলাগড়ে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের জেরেই বধূর এই ভয়ংকর পরিণতি। ঠিক কী ঘটেছিল? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রিয়া দাস। বয়স ২৯ বছর। ৫ মাস আগে বলাগড়ের রুকেসপুরের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সুভাষ সাঁতরার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সোমবার সকাল থেকে রিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও সাড়া শব্দ না পেয়ে রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। বাপের বাড়ির লোকজন গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে দেখে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বলাগড় থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মৃতার মাসির দাবি, তাঁদের মেয়েকে মরতে বাধ্য করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রিয়ার উপর মানসিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। প্রতিমুহূর্তে নাকি তাকে সন্দেহ করত স্বামী ও শাশুড়ি। তা নিয়ে অশান্তিও কম হয়নি। তার জেরেই এই পরিণতি। মৃতার শাশুড়ি শোভা সাঁতরা বলেন, রাতে ছেলের সঙ্গে বউমার অশান্তি হয়েছিল। কিন্তু তারপর তিনি আর কিছু জানেন না। এবিষয়ে হুগলি গ্রামের পুলিশের DSP ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, “একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ ময়নাতদন্ত হবে। এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি।”