মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। তার পরোক্ষ প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রবিবার থেকেই জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। যদিও, রবিবার সারা দিন উত্তরের বেশির ভাগ জায়গায় ছিল রোদের দাপট। গরমে অস্বস্তি পৌঁছয় চরমে। আবহাওয়া আধিকারিকদের দাবি, আজ, সোমবার থেকে পরিস্থিতির বদল শুরু হতে পারে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
রবিবার থেকেই ছিল পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। যদিও পরিস্থিতি ছিল একে বারেই উল্টো। সকাল থেকে তাপমাত্রার পারদ এতটাই চড়তে থাকে, ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যায় উত্তরবঙ্গের গড় তাপমাত্রা। যা অনুভূত হয়েছে ৪৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। দুপুরের দিকে, রাস্তাঘাট কার্যত সুনসান হয়ে যায়। বিকেলের পরে কয়েকটি জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়। বালুরঘাট, রায়গঞ্জ এবং মালদহে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়। কিন্তু গরম তেমন কমেনি।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তারই পরোক্ষ প্রভাবে কিছুটা জলীয় বাষ্প নতুন করে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরবঙ্গে ঢুকছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’’ পাহাড় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় আগামী কয়েক দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে বলেজানান তিনি।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। ঘূর্ণাবর্তের পরোক্ষ প্রভাব তিন-চার দিন থাকবে। ওই সময়েই আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং দার্জিলিং, সিকিম-সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিতে আবহাওয়ার তেমন বদল হতে দেখা যায়নি। গরম ছিল চূড়ান্ত।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা জানান, পরপর কয়েক দিন তাপমাত্রা বেশি থাকার পরে জলীয় বাষ্প ঢোকে। তখন প্রথমে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।