কালিম্পংয়ে ডেঙ্গি সংক্রমণ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে জুনে সংক্রমণ বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসেছে। গত এক সপ্তাহে সে ভাবে নতুন করে কোনও আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে এখনও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ। তার কারণ, কালিম্পংয়ে বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুপ্রিয় মিত্র বলেন, ‘‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাতে কিছুটা ফল মিলছে। গত সাত-দশ দিনে সে ভাবে আক্রান্ত মেলেনি।’’
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর কালিম্পংয়ে ডেঙ্গির সংক্রমণ অনেকটাই বেশি ছিল। সরকারি হিসাবেই ৫১৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল। বেসরকারি হিসাবে সংখ্যাটা আরও বেশি। এ বছরও পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কালিম্পং শহর তথা পুর এলাকাতেই সংক্রমণ বেশি ঘটছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকার আনাচে-কানাচে জল জমে থাকছে বলে অভিযোগ। নিয়মিত নজরদারি যথাযথ নয় বলে অভিযোগ। ডেঙ্গির বাহক মশা মারতে লার্ভানাশক স্প্রে করার ক্ষেত্রেও নিয়মিত কাজ হচ্ছে না বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ।
বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে থাকা এবং তার পর কয়েক দিন রোদ-গরমে ডেঙ্গির বাহক মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ মিলছে বলে দাবি। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কালিম্পংয়ে ডেঙ্গি ‘এন্ডেমিক’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ বছরভর সংক্রমণ ঘটছে। গত বছর ৯ জুলাই পর্যন্ত ১৭ জনের সংক্রমণ মিলেছিল। এ বছর সেই সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি। সে কারণে চিন্তা থাকছেই। এখনও ঠান্ডা পড়তে অনেক দেরি। আরও তিন-সাড়ে তিন মাস ডেঙ্গি পরিস্থিতি চলবে। সে কারণে রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক না থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।