• পানিপথে শ্রমিককে আটকে রাখার নালিশ পরিজনের
    আনন্দবাজার | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • আদিবাসী এক পরিযায়ী শ্রমিককে মজুরির টাকা না-দিয়ে বছরখানেক দিল্লির একটি কারখানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ডুমলি পাহান শ্রমিক সরবরাহকারী স্থানীয় দুই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হিলি থানায় ওই অভিযোগ করে স্বামীকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে আটক ওই শ্রমিক শ্যামল পাহানকে উদ্ধার করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন বিকেলে শ্যামলকে উদ্ধার ও ভিন্ রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার ধলপাড়া পঞ্চায়েতের মুলাহাট গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র এক শ্রমিক শ্যামলকে ২০২৪ সালের অগস্টে হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ দেওয়ার নামে দালালেরা নিয়ে যান বলে অভিযোগ। শ্যামলের স্ত্রী ডুমনি অভিযোগ করেন, ‘‘স্বামীকে দু’মাসের জন্য কাজের নাম করে গ্রামেরই এক দালাল লক্ষ্মণ হাঁসদা ও বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুরের আমরাইলের এক মহিলা শ্রমিক সরবরাহকারী ভারতী হাঁসদা হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজে নাম করে স্বামীকে নিয়ে যান।’’ প্রতি মাসে মজুরি বাবদ দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দেন। কিন্তু দু’মাসের কথা বলে স্বামীকে দিল্লির পানিপথে একটি কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে তিনি জানান। এর পর প্রায় এগারো মাস কেটে গেলেও শ্যামলকে মজুরির টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তিনি বাড়িতে ফিরে আসতে পারছেন না তিনি অভিযোগ করেন। ‌ওই পরিযায়ী শ্রমিকের এক আত্মীয়ের অভিযোগ, শ্যামলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গেলে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। দিন কুড়ি আগে অন্যের ফোন থেকে বাড়িতে আসার জন্য শ্যামল টাকা পাঠাতে বলেন। এর পরে বাড়ির ধান বিক্রি করে সেখানকার এক ব্যক্তির কাছে অনলাইনে তিন দফায় তিন হাজার টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু কোন‌ও ভাবেই তাঁকে কারখানার বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্ত্রী ডুমিলার অভিযোগ, প্রতিবেশী এবং চেঙ্গিসপুর এলাকার ওই শ্রমিক সরবরাহকারী মহিলার কাছে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিক বার অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দুই শ্রমিক সরবরাহকারীকে ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ শ্রমিককে ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)