সীমান্ত সুরক্ষার প্রশ্নে বিএসএফ-কে জমি দেওয়ার বিষয়ে যে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, পূর্বাঞ্চলীয়কাউন্সিলের বৈঠকে তা জানাল রাজ্য। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরোহিত্যে বৈঠকটি হয়। মুখ্যসচিব, অর্থসচিব এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্যের তরফে ছিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সীমান্তে স্থায়ী কাঁটাতারের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে চললেও কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশির ভাগ পশ্চিমবঙ্গের হলেও এ কাজে জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। রাজনাথ সিংহ যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই এ ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে কেন্দ্র। বাংলাদেশে পালাবদলের পর থেকে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে সতর্কতার প্রয়োজন আরও বেড়েছে। এ দিনের বৈঠকে শাহকে চন্দ্রিমা জানান, ইতিমধ্যেই অনেকটা জমি দেওয়া হয়েছে বিএসএফ-কে। কিছু এলাকায় বসতি থাকার ফলে বাসিন্দাদের সরিয়ে জমি জোগাড়ে কিছুটা সময় লাগছে। যদিও রাজ্য দ্রুত তা মেটাতে চাইছে। চন্দ্রিমার কথায়, ‘‘জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী কখনও কোনও আপস করেন না। সেই হিসেবেই কাজ হচ্ছে।’’
২০১১ সালের আগে পিছিয়ে পড়া এলাকা উন্নয়ন খাতে রাজ্যকে ৮৭৫০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তার মধ্যে রাজ্যের এখনও পাওনা ২৩৩০ কোটি টাকা। সেই প্রকল্পটি বন্ধ। রাজ্যের যুক্তি— প্রকল্প বন্ধ হলেও ১১টি জেলায় এলাকা উন্নয়নের কাজ করেছে রাজ্যই। ফলে সেই বাবদ বকেয়া পাওয়া যুক্তিযুক্ত। বিষয়টি দফতরের সচিবকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার মধ্যে জলবণ্টন, জলাধারের সংস্কার, সমন্বয়, শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাওবাদী সমস্যা নিয়ে বাকি রাজ্যগুলিকে আরও সতর্ক এবং সমন্বয় করে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন শাহ। এ রাজ্যে যে মাও সমস্যা নেই, তা-ও তিনি জানিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।