• রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছাড়া হচ্ছে : মানস ভুঁইয়া
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • মুখ্যমন্ত্রী বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও রাজ্যকে না জানিয়ে জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। একদিকে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, অন্যদিকে এই জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরিকে সঙ্গে নিয়ে খড়গপুর ১ নং ব্লকের মোহনপুরে এনিকেট বাঁধ পরিদর্শন করে একথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডা. মানস ভুঁইয়া।

    মানসবাবু বলেন, বুধবার রাতে গালুডি থেকে এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এছাড়া পাঞ্চেত, মাইথন এবং দুর্গাপুর থেকেও জল ছাড়া হচ্ছে। রাজ্যের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ডা. মানস ভুঁইয়া বলেন, প্রকৃতির উপর আমাদের হাত নেই। পরিসংখ্যান বলছে এ বছর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে।

    একদিকে বৃষ্টিপাত অন্যদিকে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গালুডি থেকে গতকাল রাতে এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বিশেষত কেশপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, দাঁতন, মেদিনীপুর সদর ব্লক, ডেবরা, কেশিয়াড়ি এলাকায় কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।

    মানসবাবু বলেন, জেলা শাসকের নেতৃত্বে সারা জেলা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির কাজ চলছে। সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেচ দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এলাকায় তৈরি আছে। আমি নিজেও আজ সেখানে যাচ্ছি। পানীয় জল, ওষুধ, খাবার, রেসকিউ সেন্টার, এসডিআরএফ টিম তৈরি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, ত্রাণ পাওয়া থেকে একজনও যেন বঞ্চিত না হয়। গালুডি থেকে ছাড়া জলের ফলে কেশিয়াড়ি এবং দাঁতনের নিচু জায়গা জলমগ্ন হতে পারে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মহকুমা শাসক পৌঁছে গিয়েছেন। কেশপুরেও বাঁধ উপচে আনন্দপুরের কিছু গ্রামে জল ঢুকেছে। সেখানেও মহকুমা শাসক গিয়েছেন। জেলাতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যার ফোন নং ৮৩৪৮৩ ৩৮ ৩৯৩। এই ফোন নম্বরে ফোন করলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন, ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময়ের মধ্যে বন্যাজনিত পরিস্থিতিতে রেসপন্স করার জন্য আমরা তৈরি আছি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)