সুমন করাতি, হুগলি: শ্বশুরবাড়িতে বধূর রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হুগলির উত্তরপাড়ায়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই খুন করেছে তরুণীকে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকে।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপাড়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরিন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তরুণীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতার মায়ের কথায়, “বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করত। দীর্ঘ ১০ বছর মেয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেয়নি। হঠাৎই বুধবার সন্ধ্যায় জামাই ফোন করে জানায় মেয়ে মারা গিয়েছে।” মৃতার মায়ের দাবি খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকে।
এবিষয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলর সুধীররঞ্জন দাস বলেন, “আমি গতকাল পাড়ার ছেলেদের কাছ থেকে খবর পেলাম। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে রিয়ার মৃতদেহ তাঁর স্বামী নিয়ে কোথাও গিয়েছে। পরবর্তী সময় বাড়ির লোকজনকে যখন জিজ্ঞাসা করি তখন রিয়ার শ্বশুর অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায় জানান, তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টা আমার কাছে সন্দেহজনক।” একই দাবি করছেন মৃতার প্রতিবেশীরাও। সকলেরই দাবি যে, দীর্ঘদিন ধরে রিয়ার উপর অমানবিক অত্যাচার করা হত। কিন্তু কেন? পণের দাবিতে নাকি অন্য কিছু? খুনই করা হয়েছে কি রিয়াকে? এহেন যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।