• স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে প্রেমের টানে বাংলাদেশে মুর্শিদাবাদের যুবক, জুটল বেধড়ক মার!
    প্রতিদিন | ১১ জুলাই ২০২৫
  • অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে ভালোবাসার টানে আইন মেনে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের যুবক। কিন্তু ওপার বাংলার অশান্তির জেরে জুটল গণপিটুনি! গুপ্তচর সন্দেহে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। পরবর্তীতে কোনওক্রমে বাংলাদেশ থেকে ফিরতে পারলেও আর বাড়ি ফিরলেন না যুবক। সটান হাজির হলে কেরলে, কর্মস্থলে।

    জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সোহেল আলি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা তিনি। কেরলে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের রংপুরের মেয়ে সুমনার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সোহেল জানিয়েছেন, সুমনার আবদারে পাসপোর্ট, ভিসা নিয়েই বাংলাদেশ গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওপার বাংলায় পৌঁছেয় চরম হেনস্তা হতে হয় তাঁকে। বেধড়ক মারধর করেন সেখানকার বাসিন্দারা। সোহেলের অভিযোগ, কিছুলোক তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেটা দিতে না পারায় অমানবিকভাবে মারধর করেছে। সঙ্গে থাকা ভারতীয় ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও ৫ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।

    মারধরের পর তাকে তুলে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। যাবতীয় নথিপত্র ও মোবাইল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গুপ্তচর নয় নিশ্চিত হওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয় যুবককে। ভারতে ঢুকে বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি কেরলে কাজের জায়গায় চলে যান তিনি। ছেলের কীর্তিতে বাবা মর্জেম আলি ভীষন বিরক্ত। তিনি বলেন, “বারবার নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে এসব পথে যাস না। কিন্তু শোনেনি ছেলে। বাংলাদেশের ওই মেয়েই নাকি সব, একথা জানিয়ে চলে গেল। এখন শুনছি ওই মেয়েও বিবাহিতা। তাছাড়া সেখানে পৌঁছতেই ওখানকার লোক গুপ্তচর ভেবে মারধর করে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)