• আর হয়রানি নেই, এবার এক ক্লিকেই সব পরিষেবা! শ্রাবণী মেলা নিয়ে প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগ...
    আজকাল | ১১ জুলাই ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি,১০ জুলাই: পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারে পূর্ণার্থীদের হয়রানি কমাতে উদ্যোগী প্রশাসন। আসন্ন তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী ভিড় করবেন।প্রশাসনের প্রথম লক্ষ্য ছিল পূর্নার্থীদের নিরাপত্তা। সেই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের উচ্চপর্যায় একাধিক বৈঠক ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানান ব্যবস্থা বলবৎ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    শ্রাবণী মেলা চলাকালীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া থাকছে বৈদ্যবাটি গঙ্গার ঘাট থেকে তারকেশ্বর মন্দির পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা। থাকছে খারাপ রাস্তা মেরামত করা থেকে আসা যাওয়ার উন্নত ব্যবস্থা। পুলিশ সহায়তা থেকে চিকিৎসা, খাওয়া দাওয়া ঘুমানো সব কিছুর ব্যবস্থা। তবে যেই প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে, তা হল এই যাবতীয় পরিষেবা মিলবে কীভাবে। আর কোথায় গেলেই বা মিলবে এই সুবিধে। 

    সরকারি পরিষেবা মানে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে। এমনটা ভাবেন অনেকেই। কিন্তু এক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটাই করা হয়েছে। অনেক সহজেই পরিষেবা গ্রহণ করা যাবে। সরকারি উদ্যোগে খোলা হয়েছে 'তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা' নামে একটি ওয়েবসাইট। হাতে থাকা মোবাইল ফোনে এক ক্লিকে খুব সহজেই মিলবে পরিষেবা। সঙ্গে থাকবে যাবতীয় তথ্য। পরিষ্কার করে দেওয়া রয়েছে কি করা যাবে, আর কি করা যাবেনা। যেমন রেল স্টেশনে নামলে কোন দিকে, কোন রাস্তায় গেলে ঘাটে পৌঁছবেন। জল নিয়ে কোন রাস্তা ধরে তারকেশ্বর মন্দিরে পৌঁছবেন। রয়েছে লাইভ ম্যাপের ব্যবস্থা। দেওয়া থাকবে দিনের কোন সময় গঙ্গা থেকে জল তোলা যাবে। কোন ঘাট থেকে জল তোলা যাবে। অনেক দূর থেকে যারা আসছেন, কোথায় একটু বিশ্রাম নেবেন। কোথায় গেলে খাবার মিলবে। ভাণ্ডারার ব্যবস্থা রয়েছে কোথায় কোথায়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোথায় গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। অ্যাম্বুলেন্স কোথায় রয়েছে। খাবার জল, বাথরুম কোথায় রয়েছে। আবর্জনা ফেলার জায়গা কোথায়। অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের ক্যাম্প বা পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র ইত্যাদি ম্যাপে স্পষ্ট করে দেওয়া থাকবে। সঙ্গে থাকবে গঙ্গা আরতির সময়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস। জরুরী যোগাযোগের নম্বর এবং ইনফর্মেশন সেন্টার। যেখান থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন পূর্নার্থীরা। থাকবে ট্রেন এবং বাসের সময় সূচি। কথা থেকে বাস ছাড়বে সেই তথ্য।

    যারা আসতে পারবেননা বা বয়স্ক মানুষের জন্য ওয়েবসাইটেই রয়েছে ই-দর্শনের ব্যবস্থা। সাধারণত সকলের জন্য সমস্ত ব্যবস্থাই রাখা থাকে। কিন্তু ভিড়ের চাপে দিশেহারা মানুষ সেই পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শারীরিক অসুস্থতার জন্য মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছেন, অথচ তাঁর পাশেই সরকারি স্বাস্থ্য শিবির রয়েছে, তিনি জানেন না। তাই আর হয়রানি নয়। অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। তাছাড়াও বহু স্বেচ্ছাসেবী থাকবে। থাকবে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মীরা। 'তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলা' ওয়েবসাইটে অনাহাসেই সমস্ত পরিষেবা, মানুষ চাইলেই পেতে পারেন।
  • Link to this news (আজকাল)