• বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা, ফেরার পঞ্চায়েত প্রধান
    আনন্দবাজার | ১০ জুলাই ২০২৫
  • বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রতারণার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা (ডিরেক্টরেট অব ইকনমিক অফেন্সেস বা ডিইও)। ধৃতদের নাম কাঞ্চন চক্রবর্তী এবং শিবশঙ্কর সরকার। ডিইও সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুপ্রকাশ দেবনাথ তৃণমূল নেতা তথা নদিয়ার কালীনারায়ণপুর-পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক শুভ্রকান্তি নাগের সঙ্গে সুপ্রকাশও দুবাইয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে ডিইও-র দাবি। ওই সংস্থার মালিক, তাঁর স্ত্রী এবং পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে বলেও খবর।

    গোয়েন্দারা জানান, চলতি বছরের গোড়ায় দুবাইয়ে বসেই শুভ্রকান্তি নতুন একটি সংস্থা খুলেছিলেন। সোমবার সেই সংস্থা দিঘার একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠানেই হানা দেন ডিইও-র অফিসারেরা। গ্রেফতার করা হয় কাঞ্চন এবং শিবশঙ্করকে। তাঁরা প্রতারণায় অভিযুক্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কাঞ্চনের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে এবং শিবশঙ্করের বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। আদালতের নির্দেশে তাঁরা জেল হেফাজতে আছেন। সূত্রের খবর, গত সাত মাসে তাহেরপুরের বাসিন্দা শুভ্রকান্তির বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে নদিয়ার কল্যাণী থানায় দু’টি, তাহেরপুর থানায় একটি এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানায় দু’টি মামলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, শুভ্রকান্তি প্রথমে একটি শেয়ার কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শদাতার কাজ করতেন। পরে ‘স্টক গুরুকুল’, ‘প্রফিট অ্যাক্সিস’ নামে একাধিক সংস্থা খোলেন। তিনি বিনিয়োগকারীদের আমানত দ্বিগুণ করে দেওয়ার নাম করে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দুবাইয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় তেরো হাজার ‘পোস্ট ডেটেড চেক’ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে সেগুলিবাউন্স করেছে। এর পরেইপ্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় চারটি মামলা রুজু হয়। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, কালীনারায়ণপুর-পাহাড়পুর পঞ্চায়েতেরপ্রধান সুপ্রকাশ-সহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনেকেই শুভ্রকান্তির সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    তদন্তকারীরা জানান, দুবাইয়ে পালিয়ে গিয়ে ফের শেয়ার ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নাম করে নতুন একটি সংস্থা খুলেছিলেন শুভ্র। দিঘার হোটেলে সেই সংস্থার সেমিনার ছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)