উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকশিক্ষা সংসদের সভাপতিচিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা ঠিক করেছিলাম পরীক্ষার্থীরা যে ওএমআর শিটে উত্তর দেবেন সেই ওএমআর শিটের কার্বন কপি নিয়েই বাড়ি যেতে পারবেন। কিন্তু কয়েকটি কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে এসেছি। তবে আমরা ওএআরশিটের উত্তরপত্রের কার্বন কপি না দিলেও পরীক্ষার্থীরাকী উত্তর দিলেন সেই উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি আমাদের ওয়েবসাইটে তুলে দেব।’’
এ বার উচ্চ মাধ্যমিক চারটি সিমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে। একাদশে দু’টি সিমেস্টার। তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার নিয়ে হবে উচ্চ মাধ্যমিকের সার্বিক মূল্যায়ন।তৃতীয় সিমেস্টার হবে এমসিকিউ-এর উপরে। ওই পরীক্ষা ওএমআর শিটে হবে। চতুর্থ সিমেস্টারে থাকবে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন।
চিরঞ্জীব জানান, তৃতীয় সিমেস্টার হবে সেপ্টেম্বরে। পরীক্ষা হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে প্রশ্নের মডেল উত্তর ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা তা মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন কোন প্রশ্নের কী উত্তর। এর কিছু দিন বাদেই পড়ুয়াদের উত্তরপত্রও স্ক্যান করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। চিরঞ্জীবের দাবি, ‘‘প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে অনেক সময়ে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে এই ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্কুল স্তরের পরীক্ষায় এমনটা এ রাজ্যে আগে করা হয়নি।’’
তবে এই পদ্ধতিতে কয়েক লক্ষ উত্তরপত্র স্ক্যান করে ওয়েবসাইটে দিতে হবে বলে জানালেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা। এক কর্তা বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যদি সাত লক্ষ হয় তাহলে সাত লক্ষ পরীক্ষার্থীর ৬টি বিষয়ের উত্তরপত্র স্ক্যান করে ৪২ লক্ষ কপি ওয়েবসাইটে তুলতে হবে। তবে এর পরিকাঠামো আমাদের আছে। পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যাহবে না।’’
তবে সংসদের এক আধিকারিক জানান, ওএমআর শিটের কার্বনকপি পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে আনলে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। ওএমআর শিটে কোনও ধরনের রদবদলের আশঙ্কা থেকেই তা স্ক্যান করে সরাসরি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না।
চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, চতুর্থ সিমেস্টার শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে। তখন গোটা প্রক্রিয়ায় আরও বেশি স্বচ্ছতাআনতে নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।