জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৭ জন। ৯ জুলাই সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১২ জন। ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজও শুরু করেছে প্রশাসন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায় জানান, ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার উপরে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনই ডেঙ্গি পরীক্ষাও বাড়ছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি, পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় জমা জল সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট ২ ব্লকে জুলাইয়ে প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৪০ জন। ২০২৪ সালে সারা বছর রামপুরহাট ২ ব্লকে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। আবার নলহাটি পুরসভা এলাকায় ২০২৪ সালে সারা বছরে তিন জন ডেঙ্গি রোগী মিলেছিল। এ বছর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে।
রামপুরহাট ২ ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র সাহাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। রামপুরহাট ২ ব্লকের মাড়গ্রাম ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ১১ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ব্লকে সব থেকে বেশি পরীক্ষা করা হয়। মাড়গ্রাম ১ ও মাড়গ্রাম ২ এবং বিষ্ণুপুর অঞ্চলের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। তাঁদের মধ্যেই বেশি আক্রান্ত মিলছে।’’ পঞ্চায়েত এলাকায় জমা জল সরাতে এবং ডেঙ্গি নিয়ে আরও সচেতনতা দরকার বলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান।