সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার বানভাসি হল হাওড়া। পুরসভা এলাকার ৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে জলমগ্ন হল অন্তত ২৩টি ওয়ার্ড। বহু জায়গায় জল নামল না রাত পর্যন্ত। নিকাশির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও জমা জল নামতে দেরি হওয়ার পিছনে পুর কর্তৃপক্ষ দায়ী করেছেন গঙ্গার জলস্তর ও জোয়ার-ভাটাকে। পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গঙ্গার জলস্তর না কমলে হাওড়ার জমা জল নামবে না। জল কমাতে কয়েক জায়গায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হচ্ছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত লকগেট।
টানা বৃষ্টির জেরে ফি বছরের মতো এ দিন ফের জল-যন্ত্রণার ছবি ফিরে আসে হাওড়া শহরে। কোথাও হাঁটু জল, কোথাও তার থেকেও বেশি জল জমে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। উত্তরের অরবিন্দ রোড, সালকিয়া থেকে দক্ষিণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, নর্দমা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মধ্য হাওড়ার ইছাপুর মোড়, ডুমুরজলা এইচআইটি আবাসন, শৈলেন মান্না সরণি-সহ বেলিলিয়াস রোড, বেলিলিয়াস লেন, পঞ্চাননতলা রোডের আশপাশে বহু বাড়িতে জল ঢুকে যায়। বটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা, বাকসাড়া ভিলেজ রোডের অলিগলি জলমগ্ন হয়েছে। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতরাগাছি আন্ডারপাস সংলগ্ন এলাকায়। এলিভেটেড করিডরের কাজের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরে একটি নিকাশি নালা পুরো বন্ধ করে দেওয়ায় জল বেরোতে পারেনি। প্রায় তিন ফুট জল দাঁড়িয়ে থাকায় আন্ডারপাস দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেন থেকে নেমে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে পৌঁছতে নাজেহাল হন যাত্রীরা। পুরসভা জানায়, সেখানে বিশেষ সাকশন মেশিন দিয়ে জল সরানো হচ্ছে।
পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘ইছাপুর আনন্দময়ী আশ্রমের কাছে জল সরাতে তিনটি বড় পাম্প রাতের মধ্যেই বসানো হবে। ওই জায়গা থেকে জল কমাতে পারলে অনেক জায়গা থেকেই জল নেমে যাবে।’’