হানিট্র্যাপ করে ভারতীয় তথ্য পাক সংস্থার হাতে, পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার দুই পাক চর...
আজকাল | ০৯ জুলাই ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই পাকিস্তানি চরকে গ্রেপ্তার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ধৃতদের নাম মুকেশ রাজক এবং রাকেশ গুপ্তা। তারা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলার দোকান থেকে বেনামে সিম কার্ড তুলত। সেই মোবাইল নম্বরগুলি হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য গুপ্তচর সংস্থার হাতে পাঠাত। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ওটিপি শেয়ার করত তারা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই মোবাইল নম্বর গুলি হানিট্র্যাপের কাজে ব্যবহার হত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা ছিল টার্গেট। মহিলা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছিল তারা। এই হানিট্র্যাপের শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাচার করা হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমানের দুটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। মুকেশকে এক নার্সিংহোম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে রাকেশ ধরা পড়ে মেমারির একটি ভাড়াবাড়ি থেকে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এবং রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স একাধিকবার তদন্তে নেমে দেখতে পেয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ভারতীয় সেনা ও টেলিকম সংস্থার কর্মীদের টার্গেট করছে। এই হানিট্র্যাপের শিকার সেই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাচার করা হয়।
হানিট্র্যাপ কাজ করে–পাকিস্তানি মহিলা এজেন্ট বা ফেক আইডি ব্যবহার করে পুরুষ ‘প্রেমিকা’ সেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করে। কথোপকথনের মাধ্যমে গোপনীয়তা তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপে চলে কথাবার্তা। এরপর ভিডিও কল, ছবি, এবং ব্যক্তিগত কথাবার্তার মাধ্যমে তথ্য আদায়। অনেক সময় পয়সার লোভ দেখিয়েও তথ্য নেওয়া হয়।