অভিরূপ দাস: খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে ইস্পাতের ব্যারিকেডে সজোড়ে ধাক্কা! মাটি থেকে উঠে ডেলিভারি বয় খেয়াল করেন বাম হাতের অনামিকা নেই। ধাতব ‘ব্যারিকেড’-এ লেগে সেটা আলাদা হয়ে গিয়েছে। দেরি করেননি। ধ্রুবজ্যোতি রায় নামে ওই যুবক দৌড়ে যান ডায়মণ্ড হারবার রোডের বেহালার বালানন্দ ব্রহ্মচারী হাসপাতালে। সেখানেই জুড়ল কাটা আঙুল।
ঘটনা গত ২৪ জুনের। পূর্ব কলকাতায় খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিলেন ডেলিভারি বয় ধ্রুবজ্যোতি রায়। সাধারণত ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলোয় লেখা থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে খাবার। তাগাদা দেন ক্রেতারাও। সে কারণে তাড়াতাড়ি বাইক চালান ডেলিভারি বয়রা। ধ্রুবজ্যোতি জানিয়েছেন, “আমিও সন্ধ্যেবেলা তাড়াতাড়ি করে খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিলাম। বেহালা শখেরবাজার থেকে শিলপাড়ার দিকে যাওয়ার পথে রাস্তায় ছিল একটি ইস্পাতের ব্যারিকেড। সামনে ছিল একটি গাড়ি। গাড়ির জন্য ব্যারিকেডটি দেখতে পাইনি। সজোরে ধাক্কা লাগে হাতে।’’
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যায় ধ্রুবজ্যোতি। তবে ভয় পায়নি। তড়িঘড়ি চলে যান বেহালার ওই হাসপাতালে। প্লাস্টিক সার্জন ডা. সৌম্য গায়েন বলেন, “ভাগ্যিস দেরি করেনি! এমন আঘাতে ছ’ঘণ্টার মধ্যে আসতে হয় হাসপাতালে।’’ চিকিৎসকদের কথায়, “একটা আস্ত আঙুল কেটে আলাদা হয়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ‘শক’ লাগে। ওই যুবকের সাহস আছে। সকলকেই বলব এমতাবস্থায় ভয় পাবেন না। সময় নষ্ট করবেন না। আঙুলের কাটা জায়গায় নিজেরা কিছু ঘষাঘষি করবেন না। চেষ্টা করুন আঙুলের কাটা অংশটা ঠান্ডা কিছুতে মুড়ে সেটা নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে চলে আসতে। যত তাড়াতাড়ি আসতে পারবেন কাটা অংশ জু়ড়তে জটিলতা তত কম হবে।” হাসপাতালের পক্ষ থেকে দীপক সরকার জানিয়েছেন, স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টায় ব্রতী বালানন্দ হাসপাতাল।