• কাটোয়ায় বিস্ফোরণে জখম হয়েও ফেরার, অবশেষে গ্রেপ্তার ইব্রাহিম-সফিকরা, ধৃত বেড়ে ৯
    প্রতিদিন | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • ধীমান রায়, কাটোয়া: কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পাশাপাশি ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সাত কেজি বোমার মশলা উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কাটোয়া আদালতের বিচারক।

    পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম ইব্রাহিম শেখ, সফিক শেখ এবং সফিক মণ্ডল। তিনজনেরই বাড়ি রাজুয়া গ্রামে। গত শুক্রবার বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই জখম অবস্থায় পালিয়েছিল ইব্রাহিম ও সফিক। তাদের খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে কেতুগ্রাম এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সফিক মণ্ডলকে রাজুয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

    গত শুক্রবার কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় বীরভূমের নানুর এলাকার বাসিন্দা এক দুস্কৃতী বরকত কারিগরের। মূল অভিযুক্ত তুফান চৌধুরীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধরা হয় লিংকম্যান কেতুগ্রামের কাচরা গ্রামের বাসিন্দা জামির শেখ-সহ আরও পাঁচজনকে। এদিন ভোরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনিয়ে রাজুয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জন।

    পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত ইব্রাহিম বোমা বাঁধার জন্য মশলা সাপ্লাই দিয়েছিল। সফিক শেখ বোমা বাঁধার সময় দরজায় দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছিল। অপরদিকে সফিক মণ্ডল বোমা বাঁধার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল না। তবে বোমা বাঁধার জন্য যে সুতলি দড়ি প্রয়োজন হয় তুফানের সঙ্গে কাটোয়া শহরে গিয়ে একটি দোকান থেকে ওই দড়ি কিনে এনেছিল সফিক মণ্ডল। বোমা ফেটে ইব্রাহিম শেখ ও সফিক শেখের মুখের কিছুটা অংশ ঝলসে যায়। কিন্তু তারা পুলিশের গ্রেপ্তারির ভয়ে ওই অবস্থায় ছুটে পালিয়ে যায়। চিকিৎসকের কাছেও যায়নি তারা। বাড়িতেই ওষুধ লাগিয়ে নেয়।

    তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ইব্রাহিম শেখের মাধ্যমে ওই বোমার মশলা কিনে আনা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ থেকে। বাজারে এই ধরনের মশলা সাত থেকে আট হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এই বিপুল পরিমাণ মশলা মুর্শিদাবাদ থেকে কেনা হয়েছিল ১১ হাজার টাকা কেজি দরে। পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আর কে কে এই চক্রে জড়িত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)