বৃষ্টি কমার পরে কমল জলযন্ত্রণা, কলকাতায় বেশির ভাগ জায়গায় জল নামলেও ঠনঠনিয়া-সহ কিছু এলাকায় পুরোপুরি কাটেনি দুর্ভোগ
আনন্দবাজার | ০৮ জুলাই ২০২৫
বৃষ্টির জন্য দুর্ভোগ এখনও পুরোপুরি কাটছে না কলকাতায়। বৃষ্টি কমার পরে জমে থাকা জল বেশির ভাগ জায়গায় নেমে গেলেও কিছু কিছু এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। ঠনঠনিয়া, বেহালার বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় জল এখনও পুরোপুরি নামেনি। যোধপুর পার্কের কিছু এলাকাতেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জল জমে ছিল। যদিও পুর প্রশাসন জানিয়েছে, বর্তমানে কোথাও জল জমার সমস্যা নেই।
মঙ্গলবার সকালের তুলনায় দুপুরে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সকালে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটাই কমেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও জলযন্ত্রণা এখনও পুরোপুরি কাটেনি শহরবাসীর। কিছু জায়গায় জমা জলের পরিমাণ আগের থেকে কমেছে, তবে এখনও পুরোপুরি নামেনি। বিশেষ করে শহরের অনেক গলিপথ এখনও জলমগ্ন। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া-সহ বেশ কিছু এলাকায় যানচলাচল তুলনামূলক ভাবে ধীরে হচ্ছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতায় গড়িয়া এবং আশপাশের কিছু এলাকাতেও জমা জল পুরোপুরি নামেনি বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন প্রান্তে জল জমতে দেখা যায়। কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত, তো কোথাও আবার প্রায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যায় সকালে। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বৃষ্টিতে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমে যায়।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি বিভাগ) তারক সিংহ জানান, সোমবার রাত থেকে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে জল জমে গিয়েছিল। কিন্তু ওই জল আবার দ্রুত বেরিয়েও গিয়েছে। এখন আর কোথাও জল জমার সমস্যা নেই বলেই দাবি তাঁর। মেয়র পারিষদ জানান, লকগেট বন্ধ থাকলে এবং অঝোরে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হলে জল জমার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তবে জল জমলেও তা খুব শীঘ্রই বেরিয়েও যাবে বলে আশ্বাস দেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ। পাশাপাশি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ চত্বরে জল জমার জন্য মেট্রোর কাজকেই একপ্রকার দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, পুরসভার সঙ্গে কোনও কথা না বলেই মেট্রোর কিছু কাজের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।