• পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি! বর্ধমান থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ২
    প্রতিদিন | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • অর্ণব আইচ ও সৌরভ মাজি, কলকাতা ও বর্ধমান: বাংলার মাটি ব্যবহার করে ফের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ! পাকিস্তানকে গোপনে তথ্যপাচারের অভিযোগে বর্ধমান থেকে গ্রেপ্তার ২। শনিবার গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে বর্ধমানের দুই জায়গা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সোমবার তাদের কলকাতার আদালতে পেশ করা হলে ৭ দিনের জন্য এসটিএফকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, ধৃতদের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর লিংক রয়েছে। মোবাইল সিমকার্ডের ওটিপি শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে চরবৃত্তি চলত বলে জানা গিয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জানতে মরিয়া এসটিএফের তদন্তকারীরা।

    রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশকুমার গুপ্তা। মুকেশ পানাগড়ের ক্যানেল রোডের বাসিন্দা। মেমারিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। অপরজন, রাকেশ কুমারের বাড়ি কলকাতার ভবানীপুরে। সেও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজের আড়ালে গুপ্তচর হিসেবে তথ্য পাচার করত আইএসআইকে। এরা বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কীভাবে অপারেশন চালাত মুকেশ, রাকেশ? জানা যাচ্ছে, সিমকার্ডের ওটিপি দিত তারা। তার বিনিময়ে টাকা পেত। এভাবেই চুপিসাড়ে তথ্য পাচারের কারবার চলত।

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বর্ধমানে অভিযান চালায়। সেসময় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছিল মুকেশ রজকের। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আর রাকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেমারির ভাড়াবাড়ি থেকে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারির পর সোমবার তাদের কলকাতায় আদালতে পেশ করা হয়েছে। এখন এসটিএফের হেফাজতে রয়েছে দুই পাক চর। এর নেপথ্যে আরও বড় চক্র রয়েছে বলেই সন্দেহ এসটিএফের। তাদের জেরা করে সেসব তথ্য জানতে চান আধিকারিকরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)