রুফটপ রেস্তোরাঁ, বাজার, স্কুল কিংবা হাসপাতাল—অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে এবার আর কোনও রকম ঢিলেমি চলবে না। লাগাতার আগুন লাগার ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুনের বিপদ রুখতে শীঘ্রই আসতে চলেছে নতুন নির্দেশিকা। ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) তৈরি করছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে এক উচ্চপর্যায়ের কমিটি, যার চেয়ারম্যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মে মাসের শেষে কমিটির প্রথম বৈঠকে ঠিক হয়, শহরকে আগুনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে প্রতিটি দপ্তরের পরামর্শ নিয়ে তৈরি হবে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। সেই কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। গত সোমবার এই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হয়, যেখানে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, জাভেদ খান, সুজিত বসু এবং প্রদীপ মজুমদারের মতো রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন দমকল বিভাগের ডিজি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সহ বহু প্রশাসনিক কর্তা। সবার মতামতের ভিত্তিতে গাইডলাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদন মিললেই গোটা রাজ্যে কার্যকর হবে এই নতুন নির্দেশিকা।
রুফটপ রেস্তোরাঁ নিয়েও এখন আর কোনও অস্পষ্টতা থাকছে না। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘তিনটি রুফটপ রেস্তোরাঁ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুনানি শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশেই এই শুনানি চলছে। এই তিনটির রায়ের ভিত্তিতেই তৈরি হবে নির্দেশিকা, যা পরে সকল রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কোনও ভেদাভেদ হবে না।’
নতুন এসওপি অনুযায়ী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নিনিরাপত্তা মেনে চলতে হবে। রাজ্যের স্পষ্ট বার্তা—নিরাপত্তা নিয়ে আর কোনও আপস নয়।