• সিভিক কেন গ্রেফতার নয়, প্রশ্ন আত্মঘাতীর পরিবারের
    আনন্দবাজার | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • ফুল তুলতে গিয়ে ‘চোর’ অপবাদে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সরস্বতী দে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জন গ্রেফতার হলেও এক সিভিক কর্মী-সহ বাকি দু’জন কেন এখনও গ্রেফতার হল না, সেই প্রশ্ন তুললেন মৃতের পরিবারের লোকজন এবং এলাকার বাসিন্দারা।

    অভিযুক্ত সিভিক কর্মী এবং শান্তিপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। সোমবার মৃতার বাড়িতে যান তিনি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে অর্চনা বলেন, "কাউকে আত্মহত্যা করতে দেওয়ার মতো অপরাধের থেকে বড় কিছু হয় না। আজকে বাংলায় এমন অবস্থা হয়েছে, কেউ যদি সিভিক কর্মী হয় তাহলে তার এত ক্ষমতা যে, একজন সাধারণ পরিবারের মানুষ সামান্য ফুল তুললে তাঁকে এতটা অপমান করা হয় যে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।’’

    তিনি বলেন, ‘‘কমিশন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। দেহ তোলার সময় কোনও পুলিশ আসেনি। বডি এখান থেকে নিয়ে যায় দু’জন ডোম। পাশাপাশি পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়নি। পুলিশ কী ভাবে খবর পেল, কার থেকে পেল, যাদের পাঠিয়েছিল তাদের অনুমোদন আছে কি না, তদন্তে কী পাওয়া যাচ্ছে সবই খতিয়ে দেখা হবে। আমি পাড়ার লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেছি। পাড়ার সবাই বলছে ওই পরিবার যখন তখন ক্ষমতা দেখায়, সবাইকে মারধর অপমান করে থাকে।’’

    পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার সময় সিভিক কর্মীর নাইট ডিউটি ছিল। ভোর বেলায় তার ডিউটি শেষ হয়। সেক্ষেত্রে ঘটনার সময় তার ডিউটিতে থাকার কথা। অর্চনা বলেন, ‘‘সিভিক কর্মীরা যতক্ষণ না ধরা পড়ে, আরজি করের মতো ঘটনা ততক্ষণ তারা জানে না।’’

    রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আশিসকুমার মৌর্য বলেন, "যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই আমরা তদন্ত করছি। সিভিক কর্মীকে আপাতত কাজ থেকে বসানো হয়েছে। তদন্তে যেমন উঠে আসছে সেই রকমই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবারের লোকদের যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে তাঁরা সেটা আমাদের জানাতে পারেন।"
  • Link to this news (আনন্দবাজার)