সেতু সারানোর দাবিতে বিক্ষোভ, কিছুক্ষণ থমকাল দরপত্রের কাজ
আনন্দবাজার | ০৮ জুলাই ২০২৫
ধোবাঘাটে ভাঙা সেতু সংস্কারের ব্যবস্থা না করে অন্যান্য কাজের দরপত্র ডাকা যাবে না— এই দাবি তুলে সোমবার সকালে খানাকুল ১ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাতে বিভিন্ন কাজের দরপত্র ডাকার কাজ কিছুক্ষণ থমকে থাকে। পরে প্রশাসনের আশ্বাস এবং পুলিশি তৎপরতা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ মাইতি বলেন, “দরপত্র ডাকাকালীন স্থানীয় কিছু মানুষের সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তা মেটানো হয়েছে। দরপত্র ডাকার কাজও হয়েছে।” এ দিন পঞ্চায়েতের ২৫টি বুথে রাস্তা, নিকাশি নালা, সাব-মার্সিবল পাম্প ইত্যাদি ২৫টি (বুথ-পিছু একটি করে) কাজের দরপত্র ডাকা হয়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তহবিলে ওই কাজগুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা বলে তিনি জানান।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ধোবাঘাটে দ্বারকেশ্বর নদের উপরে কংক্রিটের সেতুর বিষয়টি ব্লক ও জেলা প্রশসানের আওতায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে ব্লক প্রশাসনের তরফে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন আগে নদে জল বাড়ায় সেটি ভেঙে যায়। তা ফের দ্রুত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যুগ্ম বিডিও সুব্রত সরকার।
বছর পঁচিশ আগে স্থানীয় মানুষদের আর্থিক সহায়তা এবং তৎকালীন সাংসদ ও বিধায়ক তহবিলে প্রায় ৯০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৪ মিটার চওড়া সেতুটি নির্মাণ করে খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি। ২৮ মে সেটির স্তম্ভে ফাটল হয়ে বসে যায়। সেতুটি ঠাকুরানিচকের একটা অংশ-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার সঙ্গে খানাকুলের দু’টি ব্লকের যোগাযোগের সহজ পথ জানিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ, বর্তমানে সেটি অচল হওয়ায় নদের পশ্চিম দিক থেকে গাড়ি নিয়ে আসতে হলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরপথে বড়ডোঙ্গলের সেতু পারাপার করতে হচ্ছে।