‘অযোগ্য’দের পাশে দাঁড়াল এসএসসি-রাজ্য, প্রশ্ন একই ‘দোষে’ দু’বার শাস্তি কী ভাবে
আনন্দবাজার | ০৭ জুলাই ২০২৫
‘অযোগ্য’দের পাশে দাঁড়াল এসএসসি ও রাজ্য। স্পষ্ট বক্তব্য, একই অপরাধের জন্য কাউকে দু’বার শাস্তি দেওয়া অন্যায় হবে।তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ছাড়পত্র দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে রাজ্যের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, ‘অযোগ্য’দের বয়সের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। ইতিমধ্যে কেউ আবেদন করে থাকলেও তাঁর আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। তবে অভিযোগ উঠেছিল, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও দায়ের হয়। মামলাকারীদের দাবি ছিল, এসএসসির দেওয়া ৪৪ হাজার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি আইনসম্মত নয়। আরও অভিযোগ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে বাছাই প্রক্রিয়া ওই সালের নিয়ম অনুয়ায়ী করার কথা বলা হলেও তা হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তিতে মানা হয়নি বয়সে ছাড়ের বিষয়ও। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।
শুনানির সময়ে রাজ্যের যুক্তি ছিল, ‘অযোগ্য’দের চাকরি গিয়েছে। বেতন ফেরতের কথাও বলা হয়েছে। এই শাস্তির পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াটাও আরও একটি শাস্তি। তাই এসএসসি ও রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল, একই অপরাধের জন্য কাউকে দু’বার শাস্তি দেওয়া যায় না।
যদিও বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ‘অযোগ্য’রা দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন। তাই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে ‘দুর্নীতি’র দায়ে যে চাকরি বাতল হয়েছে সেই চাকরি দেখিয়ে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়ে যাবেন। ফলে ‘দাগি’রা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না। হাই কোর্টের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক চলতি বছরের ৩১ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই হবে।