পুকুর থেকে উদ্ধার পুলিশকর্মীর দেহ। ঘটনাটি হাবরা থানার বাণীপুর ইতনা এলাকার। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কিছুটা দূরে একটি পুকুরে পুলিশকর্মী বিশ্বজিৎ ঘোষকে ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকেরা। উদ্ধার করে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটিতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত পুলিশকর্মীর মা যমুনা ঘোষ জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে বিয়ে হয়েছিল বিশ্বজিতের। তার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি লেগে ছিল পুত্রের। পুত্রবধূ নিজের বাপের বাড়িতে থাকতেন। এক কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁদের। তাঁর অভিযোগ, বিশ্বজিৎ রোজ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। শুক্রবার রাতেও তাঁকে মত্ত অবস্থায় স্থানীয় এক জন বাড়ির কাছে দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন যমুনা। যদিও শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি তিনি। যমুনার দাবি, বিশ্বজিতের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কেউ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন।
বিশ্বজিতের বোন সুমিতা দাস সরাসরি আঙুল তুলেছেন তাঁর স্ত্রীর দিকে। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের চাকরি পেতেই বিশ্বজিৎকে পুকুরে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের লোকজন।