‘আমি আইপিএস অফিসার’, যুবতীদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে আর্থিক প্রতারণা! নিউ টাউনে গ্রেফতার
আনন্দবাজার | ০৭ জুলাই ২০২৫
ভুয়ো পুলিশ কনস্টেবলের পরে এ বার ভুয়ো আইপিএস অফিসার গ্রেফতার। ঘটনাস্থল সেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। অভিযোগ, বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার দুই বাসিন্দাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ভুয়ো আইপিএস অফিসার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রণজয় চট্টোপাধ্যায়। যদিও কোথাও কোথাও সুস্মিত সেন বলে নিজের পরিচয় দিতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিশ নিউ টাউন এলাকা থেকে ২৭ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। জানা যাচ্ছে, রণজয় নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে দাবি করে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। বিশেষ করে মহিলারা ছিলেন তাঁর টার্গেট। সমাজমাধ্যম এবং মুখোমুখি বসে অনেকের সঙ্গে আলাপ করতেন। সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকেই তিনি মোটা অঙ্কের টাকা তুলেছেন।
সম্প্রতি হাড়োয়া থানা এলাকার দুই তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলেন ওই যুবক। আইপিএস অফিসার বলে নিজের পরিচয় দিয়ে তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। এই ভাবে প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পরেও চাকরি নিয়ে উচ্চবাচ্য না করায় দুই তরুণী বুঝতে পারেন তাঁরা ঠকেছেন। দু’জনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ নিউ টাউন এলাকা থেকে যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতের বাড়ি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নামে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে বেশ কয়েক জন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি। তার পর তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। অভিযুক্ত একটি নীলবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতেন বলেও জানা যাচ্ছে। ওই যুবকের সঙ্গে প্রতারণাচক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। সে জন্য অভিযুক্তকে জেরার প্রয়োজন। সোমবারই তাঁকে হেফাজতে চেয়ে বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। ভুয়ো আইপিএস অফিসারের গ্রেফতারি নিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি হাসান বলেন, ‘‘পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁর কাছ থেকে টাকাপয়সা উদ্ধার করা হবে এবং আরও কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
দিনকয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে অঙ্কিত ঘোষ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করে উর্দি গায়ে ঘুরে বেড়াতেন ওই যুবক। ফলাও করে সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করতেন। প্রায় এক বছর বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা জানতেন যে, তিনি পুলিশ কনস্টেবল!