মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন সংগঠন, নিয়ন্ত্রিত আলুর দাম, বন্ধ হবে কালোবাজারি...
আজকাল | ০৭ জুলাই ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি,৬ জুলাই: কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তৈরি হলো সংগঠন। এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে বাজারে আলুর দাম। বন্ধ হবে আলুর কালোবাজারি। সরাসরি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবে সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে গঠিত হলো আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন। নবগঠিত সংগঠনের নাম দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রোগ্রেসিভ পটেটো গ্রোওয়ার্স এন্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার বিকেলে হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির হলঘরে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের কৃষিজ বিপনন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, গ্রন্থাগার মন্ত্রী বিকাশ দেবনাথ, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার , হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না সহ বিধায়ক ও বিভিন্ন জেলার নেতৃত্ববৃন্দরা। এছাড়া বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন হুগলি জেলার আলু ব্যবসায়ী এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা আলু ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে মূলত আলোচনা হয় কৃষকদের স্বার্থে এই সংগঠন কাজ করবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করবে বাজারে আলুর দাম। রোধ করবে আলুর কালো বাজারি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে। সরাসরি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে এই সংগঠন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে সংগঠনের সদস্য গ্রহণ পর্ব শুরু হবে। এতদিন রাজ্যে জুড়ে আলু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি নামে একটি সংগঠন কাজ করত। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে সরকারি সহযোগিতায় নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটল। এদিন বৈঠক শেষে কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী চান সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হন। সেটা বাস্তবায়িত করতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। আলোচনা না করে, সমস্যা তৈরি হলেই ধর্মঘট ডেকে দেওয়া ঠিক নয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিজ বিপনন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্নার দাবি, সংগঠন মানেই সবার স্বার্থ দেখা। কিন্তু আগে যে সংগঠন ছিল, তারা দু একজনের স্বার্থ দেখতো। এবং সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিত না। সবসময় সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করতো। তাই আলু চাষীদের এবং আলু ব্যবসায়ীদের উন্নতি করার জন্য বিকল্প সংগঠনের প্রয়োজন ছিল। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সংগঠন তৈরী করা হল।