• দোষী সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক অনির্বাণ, দশ বছর পুরনো জোড়া খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা শিয়ালদহ আদালতে...
    আজকাল | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দশ বছর আগে ২০১৫ সালে চিৎপুরে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জয় সেন নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার সেই মামলায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। তিনিই সেই বিচারক, যিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন।

    ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই দুপুর ২টো নাগাদ স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে চিৎপুরের ইন্দ্রলোক হাউজিং এস্টেট, ফেজ-১, রানী দেবেন্দ্র বালা রোড, একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল এবং ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল। দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায় দুই বৃদ্ধ প্রাণ গোবিন্দ দাস (৭৭) এবং তাঁর স্ত্রী রেণুকা দাস (৭৭) আলাদা আলাদা ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। উভয়ের দেহে গভীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গিয়েছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়  উভয় মৃতের মৃত্যু হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে’।

    তদন্তে নেমে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় সেন নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জেরা করে নন্দীগ্রামের একটি গোপন আস্তানা থেকে লুঠ হওয়া সোনার গয়না এবং এক লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। সঞ্জয়ের বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে হদিশ মেলে খুনে ব্যবহৃত লোহার পাইপ এবং রক্তাক্ত পোশাকের। 

    তদন্ত শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এই মামলার বিচার চলে সালদা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। বিচার চলাকালীন ৩০ জন সাক্ষীকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। গত দশ বছর ধরে চলছিল বিচারপ্রক্রিয়া। মঙ্গলবার ১ জুলাই শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার ২ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন বিচারক।  

    প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তেরও নাম ছিল সঞ্জয়। তবে সে ছিল সঞ্জয় রায়। আরজি করের ঘটনায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক অনির্বাণ। সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন তিনি। এ বার আরও এক সঞ্জয়কে সাজা দিলেন তিনি।
  • Link to this news (আজকাল)