মাথায় ঘন কালো চুল। পাটে পাটে আঁচড়ানো। চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা। হাতে ঘড়ি। পরনে সাদা ফতুয়া আর ধুতি। বুকপকেটে রাখা কলম। এই ভদ্রলোকের সঙ্গে নব্বইয়ের কোনও রাজনীতিকের মিল খুঁজে পাচ্ছেন কি? এই ব্যক্তিকে দেখা গেল অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘কর্পূর’ ছবির একটি চরিত্রে। এই ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে ১৯৯৭ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সত্য ঘটনা অবলম্বনেই নাকি এই ছবি তৈরি করছেন পরিচালক। কিন্তু তাঁর তৈরি চরিত্রগুলি আদ্যোপান্ত কাল্পনিক। তেমনই এক চরিত্র শঙ্কর মল্লিক। যদিও তার চেহারায় বাম আমলের নেতা অনিল বিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট।
ছবিতে এই চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও তিনি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে কুণাল কোনও ভাবেই কোনও দলের রং লাগাতে প্রস্তুত নন। তিনি বললেন, ‘‘আপনারা বললেও আমি এই চরিত্রের সঙ্গে অনিল বিশ্বাসের কোনও মিল খু্ঁজে পাচ্ছি না। কেউ কোথাও কারও সঙ্গে মিল পেলে তা অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়।’’ বরং জানালেন, রাজনৈতিক নেতার যে চরিত্র তিনি পেয়েছেন তা যথাযথ ভাবে পর্দায় যেন ফুটে ওঠে, সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। পেশায় তিনি সাংবাদিক। সেই সঙ্গে রাজনীতিকও বটে। কিন্তু নাটক, অভিনয় তাঁর ভাল লাগার জায়গা। তাই এই ধরনের চরিত্র পেয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করছেন।
অভিনয়জগৎ নিয়ে যে তাঁর বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সেই আভাস পাওয়া যায় কুণালের সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন লেখায়। অনেক সময় প্রকাশ্যে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আক্রমণও করেছেন তিনি। কুণাল বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র সেই অংশেই বিতর্কে জড়াই, যেখানে অভিনয়ের বাইরে রাজনীতি যোগ হচ্ছে।’’ তবে অভিনেতা তথা নেতা কুণাল বিতর্কে বিন্দুমাত্র বিরক্ত নন। উল্টে তিনি বললেন, ‘‘বিতর্ক আমি উপভোগ করি। তা আমার কাছে বিরাট বিনোদন। যাঁরা গঠনমূলক সমালোচনা করেন তাঁদের দ্বারা আমি সমৃদ্ধ হই। আমায় দেখলে অনেকেই আবার জ্বলে! সেটা আমি খুব উপভোগ করি।’’