নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল, সংবাদদাতা, দুর্গাপুর ও মানকর: এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দীঘার বর্ণাঢ্য রথযাত্রার সাক্ষী থাকলেন শিল্পাঞ্চলবাসীও। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসানসোল রবীন্দ্রভবনে বড়পর্দায় দেখানো হয় দীঘার রথযাত্রা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং প্রমুখ। প্রতিটি ব্লকেই প্রশাসনের উদ্যোগে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে রথযাত্রার অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হয়। পাশাপাশি, আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক রথযাত্রা ঘিরে মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে উঠেছে।
খনি শহর রানিগঞ্জে দু’টি রথযাত্রা অনুষ্ঠান হয়। সিয়ারসোলে রাজবাড়ির রথের রশিতে টান দিতে বহু ভক্ত এসেছিলেন। সকালেই সেই রথযাত্রার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। রথ উপলক্ষ্যে এখানে মেলাও বসেছে। শিশুবাগান এলাকায় আরও একটি রথ হয়। এদিন আসানসোলে ইসকনের রথযাত্রা ঘিরে মানুষের ঢল নামে। বুধা থেকে এসবি গড়াই রোড ধরে জিটি রোড হয়ে রথ নির্ধারিত রাস্তা পরিক্রমা করে। বুধা মাঠে জগন্নাথদেব বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে সাতদিন থাকবেন। মাঠে রথের মেলা বসেছে। ভক্তরা এখানে প্রসাদ পান। রথের মেলা দেখতে প্রথমদিনেই মানুষের ঢল নামে। পাশাপাশি, বার্নপুরে সমারোহে রথযাত্রার অনুষ্ঠান পালিত হয়। বরাকরের রথযাত্রা অনুষ্ঠানেও মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে কুলটি থানার শিমূলগ্রামে এবার রথযাত্রার ৭৫ বর্ষ পালিত হচ্ছে। উখরার বহু প্রাচীন রথ ঘিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়।
তবে দুর্গাপুরে রথযাত্রাকে ঘিরে মানুষের উদ্দীপনা তুঙ্গে ওঠে। ইসকনের উদ্যোগে এবার তিনটি কাঠের রথে চেপে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। যে রাস্তা দিয়েই রথ গিয়েছে, সেখানেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একটিবার রথের রশিতে টান দিতে উৎসুক ছিল আমজনতা। একইভাবে চিত্রালয় মাঠে রথযাত্রা ও মেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের উৎসাহ দেখা যায়। বারবার বৃষ্টি হলেও রথের আনন্দ মাটি হয়নি। এদিন পানাগড়ের বনকাটি ও মানকরের রথযাত্রাও মহাসমারোহে পালিত হয়েছে। এদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ব্যাপক হারে পাঁপড় ভাজা ও জিলিপি বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। - নিজস্ব চিত্র