কসবার আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ মহিলা কমিশনের! তিন দিনের মধ্যে সিপির কাছে রিপোর্ট তলব
আনন্দবাজার | ২৭ জুন ২০২৫
কসবার আইন কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তারা। কসবার ধর্ষণ মামলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট আকারে কমিশনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কসবার আইন কলেজের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বিবৃতি জারি করে মহিলা কমিশন। তারা জানিয়েছে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর এ ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
শুক্রবার সকালে কসবার আইন কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কসবা থানায় তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। বয়ান রেকর্ড করা হয় সাক্ষীদের। এর পর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের সামনে থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তৃতীয় অভিযুক্ত ধরা পড়েন। শুক্রবার তাঁদের আলিপুরের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে প্রথমে এক অভিযুক্তকে ‘এম’ বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল। পরে ধৃতদের নাম প্রকাশ পায়। তাতে দেখা যায়, ‘এম’ হল ওই মূল অভিযুক্তের নামের আদ্যক্ষর। দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা।
কসবার ধর্ষণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বছরখানেক আগে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এই ঘটনায় শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছে এসএফআই। বিবৃতি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বও।