• কসবায় কলেজে গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিত্‍ TMC-র দাপুটে ছাত্রনেতা? যা জানা যাচ্ছে...
    আজ তক | ২৭ জুন ২০২৫
  • কসবার আইন কলেজ গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। পেশায় আইনজীবী। বয়স ৩১ বছর। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমের পাশের একটি টয়লেটে প্রথমে আক্রান্ত হন নির্যাতিতা। পরে তাঁকে পাশের একটি ঘরে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ছিল মনোজিত। বাকি দুই অভিযুক্তের নাম জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়।

    জানা যাচ্ছে প্রাক্তনী হলেও কলেজে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মনোজিতের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সে জড়িত ছিল। কলেজের পরিচালন কমিটির সুপারিশে তাকে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী স্টাফ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

    মনোজিতের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা রয়েছে— 'সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।' কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন 'প্রেসিডেন্ট' পদেরও উল্লেখ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ারের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। এমন একজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মতো অভিযোগ উঠতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও মনোজিতের দলে কোনও পদ আছে কিনা, তাই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

    ঘটনার সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১০টা ৫০-এর মধ্যে কসবায় একটি আইন কলেজ চত্বরে ঘটে এই ঘটনা। অভিযোগ পেয়েই কসবা থানার পুলিশ তদন্তে নামে।  চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজে নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মেডিকেল রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বুধবার রাতেই তালবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে।

    দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয় তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় শিশু উদ্যানের সামনে থেকে। ধৃতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    এরপর আরও একজন অভিযুক্তের হদিশ মেলে। তাকে সাড়ে ১২টা নাগাদ তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    তিনজনকেই আজ, শুক্রবার আলিপুর আদালতে হাজির করা হবে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য তিনজনকেই হেফাজতে নিতে চায় কসবা থানার পুলিশ।উঠছে একাধিক প্রশ্ন
    ঘটনার সময় কলেজ পঠনপাঠন চলছিল না। তবে একটি অনুষ্ঠান চলছিল বলে দাবি। প্রশ্ন উঠছে, কলেজে তখন নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন?

    ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগতে শুরু করেছে। মনোজিত মিশ্রের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা আছে, 'সাংগঠনিক সম্পাদক, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।' এমনকি কলেজ ইউনিটের 'প্রেসিডেন্ট' বলেও পরিচয় রয়েছে তাঁর প্রোফাইলে।

    পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক দল। নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে ঘটনার স্থান। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, ঘটনার সময় কলেজ চত্বরে আর কে কে ছিলেন? অভিযুক্তরা ছাত্রীর সঙ্গে কীভাবে পরিচিত ছিল? কেউ কিছু টের পেল না কেন?

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কল রেকর্ড, লোকেশন ডেটা, মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
  • Link to this news (আজ তক)