জানা গেছে, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা রথ থাকছে। বৃহস্পতিবার রাতেই রথগুলিকে মন্দিরের সামনে নিয়ে আসা হয়। সকাল থেকেই রথের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরে শুরু হয়ে পূজার্চনাও। এক নম্বর গেটের বাইরে রাখা হয়েছে সুসজ্জিত তিনটি রথ। আর কিছুক্ষণ পরেই রথে তোলা হবে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তি। মমতা জানিয়েছেন, দিঘায় রথযাত্রার সময় রাস্তায় লোক থাকবে না। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্যারিকেডের ওপার থেকে রথ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়িও লাগানো থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে দু’ধারের ব্যারিকেডের ওপারে থাকা মানুষ রথের দড়িও ছুঁতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের জন্য রথ যেতে যেতে কিছুটা সময় থামবে। মানুষ দেখতে পাবেন।
এদিকে, শুক্রবার দুপুর ২টোয় রথে আরতি এবং পুজো শুরু হবে। আড়াইটে নাগাদ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। পৌনে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রথ পৌঁছোবে মাসির বাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে।
দিঘায় শুক্রবার সকাল থেকেই চলছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তা উপেক্ষা করেই মানুষ মন্দিরের সামনে ভিড় করেছেন। রথযাত্রা শুরুর আগে স্বর্ণঝাড়ু দিয়ে ঝাড় দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। নিম কাঠের বিগ্রহ রথে চেপে মাসির বাড়ি গেলেও, মন্দিরে থাকবে পাথরের বিগ্রহ। আগামী ৭ দিন দুই জায়গাতেই বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা।