দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম রথযাত্রা। প্রথম বছরেই লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। বুধবার বিকেলে দিঘায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রথযাত্রার নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট কমিটির সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্ট মন্দিরের ৭ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন তিনি। সেখানেই রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফিতে ধরে রাস্তা ও রথের মাপ খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে-কলমে ডায়াগ্রাম এঁকে প্রশাসনিক কর্তাদের বুঝিয়ে দেন কীভাবে বিশালাকৃতির তিনটি রথ এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। কেবল নিজের পরামর্শ এবং উপদেশ দেওয়াই নয়, বরাবরের মতই মন্ত্রী থেকে পুলিশকর্তাদের মতামতও শুনে বিশ্লেষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির চত্বরে পায়ে হেঁটে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে সামগ্রিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি জানান, রথযাত্রার সময় রাস্তায় লোক থাকবে না। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। তবে ব্যারিকেডের ওপার থেকে রথ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়িও লাগানো থাকবে বলে জানিয়েছেন মমতা। ফলে দু’ধারে ব্যারিকেডের ওপারে থাকা মানুষ রথের রশি ছুঁতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে, শুক্রবার কখন ঘুরবে রথের চাকা? মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, ‘রথের দিন সকাল থেকেই জগন্নাথ মন্দির খোলা থাকবে। সেই সময় দর্শনার্থীরা মন্দিরে যাওয়ার সুযোগও পাবেন। পাশাপাশি, সকাল ৯টা থেকে রথযাত্রার প্রস্তুতি এবং উপাচার শুরু হয়ে যাবে। অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, সেই কারণে রথ চলার সময় সাধারণ মানুষকে ব্যারিকেড টপকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। দুপুর ২টোয় রথে আরতি এবং পুজো শুরু হবে। আড়াইটে নাগাদ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। পৌনে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুসজ্জিত রথ পৌঁছোবে মাসির বাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে।’ জানা গিয়েছে, জগন্নাথ দেবের পাথরের বিগ্রহ মন্দিরেই থাকবে, রথে থাকবে নিমকাঠের বিগ্রহ। আজ দুপুর দু’টোর আগেই মন্দিরে চলে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। উৎসবের মাঝেও রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য, শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম বার দিঘায় রথযাত্রা হচ্ছে।