দিঘার রথের রশি শুধু স্পর্শই করতে পারবেন সাধারণ মানুষ, দুর্ঘটনা এড়াতে সিদ্ধান্ত! কী কী হবে, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
দিঘায় রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, রথযাত্রার সময় রাস্তায় লোক থাকবে না। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যারিকেডের ও পার থেকে রথ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তা ছাড়া ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়িও লাগানো থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে দু’ধারের ব্যারিকেডের ও পারে থাকা মানুষ রথের দড়িও ছুঁতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দুপুর দেড়টা নাগাদ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে তিনটি রথ এগোবে, ভিড় কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ইসকনের রাধারমণ দাস। দেখা যায়, রথের কাছে গিয়ে সাদা কাগজে কিছু এঁকে সম্ভাব্য পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুক্রবার রথের দিন সকাল থেকেই জগন্নাথ মন্দির খোলা থাকবে। সেই সময় দর্শনার্থীরা মন্দিরে যাওয়ার সুযোগও পাবেন। পাশাপাশি, সকাল ৯টা থেকে রথযাত্রার প্রস্তুতি এবং উপাচারও শুরু হয়ে যাবে। অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, সেই কারণে রথ চলার সময় সাধারণ মানুষকে ব্যারিকেড টপকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ২টোয় রথে আরতি এবং পুজো শুরু হবে। আড়াইটে নাগাদ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। পৌনে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রথ পৌঁছোবে মাসির বাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গাছের আম দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেওয়া হয়।
মমতা বলেন, “প্রথম বার দিঘায় রথযাত্রা হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি কী হয়, সেই বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে চাই। সাধারণ মানুষের জন্য রথ যেতে যেতে কিছুটা সময় থামবে। মানুষ দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা যাতে দড়ি স্পর্শ করতে পারেন, সেই জন্য ব্যারিকেডের সঙ্গে রশি ছোঁয়ানো থাকবে। উভয় যাত্রা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা কাম্য।”