অগ্নিগর্ভ ইরানে মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন, উদ্বিগ্ন জামশিদ
আনন্দবাজার | ২৬ জুন ২০২৫
ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জেরে ইরানের একাধিক শহর ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি, মজিদ বেশকর কি আদৌ নিরাপদে রয়েছেন? কী অবস্থা তাঁর শহর খোরামশাহরের? জামশিদ নাসিরির মতো প্রবল উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কলকাতার অসংখ্য মজিদ-ভক্তও।
ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের ১২ দিন পরেও কোনও খোঁজ নেই মজিদের। ফোন করলে ধরছেন না। ওয়টস্যাপ বার্তা যাচ্ছে না। কলকাতায় থেকে যাওয়া মজিদের বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ জামশিদের কাছেও কোনও খবর নেই। আনন্দবাজারকে তিনি বললেন, ‘‘তিন-চার মাস আগে শেষ বার মজিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার পর থেকে কোনও যোগাযোগ নেই। জানি না ও কী অবস্থায় রয়েছে।’’
ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ফোন করেননি? হতাশ জামশিদ বললেন, ‘‘সপ্তাহখানেক আগে কয়েকবার ফোন করেছিলাম, মজিদ ধরেনি। ওয়টস্যাপও যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যুদ্ধের কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে।’’ এর পরেই যোগ করলেন, ‘‘আশা করছি, মজিদ সুস্থ এবং নিরাপদেই আছে। কারণ, খবরে দেখছি তেহরান, তাব্রিজ়, কোম, ইসফাহান এবং সিরাজ় শহরই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মজিদের সঙ্গে শেষ বার যখন কথা হয়েছিল, ও ছিল তেহরান থেকে প্রায় ৯১২ কিলোমিটার দূরে খোরামশাহরে। আশা করছি, এখনও সেখানেই রয়েছে। খোরামশাহর কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই যুদ্ধে কোনও খবর পাইনি। এই কারণেই আমার বিশ্বাস মজিদ নিরাপদেই আছে।’’
ইরানে অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা হয়েছে? একই রকম হতাশার সুর শোনা গেল জামশিদের গলায়। বললেন, ‘‘কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকেই প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আশা করছি, এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হবে। শান্তি ফিরে আসবে।’’
ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত আদৌ থামবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে লেখেন, “সংঘর্ষবিরতি এখন থেকে কার্যকর হচ্ছে। দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।” ইজ়রায়েলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, ইজ়রায়েল তাঁর প্রস্তাব মেনে পারস্পরিক সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হচ্ছে।” কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। ইজ়রায়েল দাবি করে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে ইরান। তাই তেহরান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান। জানিয়ে দেয়, ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটছে তারা। একই সঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছে, ইজ়রায়েল যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, ইরানও পাল্টা হামলা চালাবে।