স্টাফ রিপোর্টার: সৈকত শহর দিঘায় প্রথম রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই দিঘায় পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার অংশগ্রহণ করতে পারেন জগন্নাথ মন্দিরের নেত্র উৎসবে। ঠিক ছিল রথযাত্রার আগের দিন বৃহস্পতিবার দিঘায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁর সফরসূচির কিছু রদবদল করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
উদ্বোধনের পর থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উপচে পড়ছে ভিড়। এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষের বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছে মন্দিরে। ২৭জুন রথযাত্রা। সৈকত শহরে প্রথম রথযাত্রার আয়োজনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাধারমণ জানালেন, “ইতিমধ্যেই নবান্নে দিঘার রথযাত্রা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাতে আমরাও ছিলাম। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার নিজে গিয়ে সরেজমিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। রথে দু’লক্ষের বেশি জনসমাগম হওয়ার কথা। থাকবেন প্রচুর বিদেশিও।”
এই রথযাত্রাকে ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দিঘার হোটেলে ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, হোটেলগুলির রিসেপশনে রুমভাড়ার চার্ট টাঙানো বাধ্যতামূলক করেছেন জেলাশাসক। আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তাও। মন্দিরের চার কোণে চারটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। সৈকতশহরের পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। দিঘার নবনির্মিত মন্দিরে প্রথমবার রথযাত্রা। তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী রথের দিন সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার পরে রথের চাকা গড়াবে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা যাবেন দিঘার পুরনো মন্দিরে মাসির বাড়ি। দিঘার নতুন মন্দির থেকে যার দূরত্ব এক কিলোমিটার।পর্যটকরা যাতে রথের রশি ধরতে পারেন, তার জন্য লম্বা দড়ি লাগানো হয়েছে রথে। মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে বাঁক নিতে রথের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য দু’বার পরীক্ষামূলকভাবে রথ টানা হয়েছে। বাঁক নিতে সমস্যা হওয়ায় মন্দিরের ৭নম্বর গেটের পরিবর্তে মন্দিরের দক্ষিণ দিকের গেটের সামনে থেকে ১১৬-বি জাতীয় সড়ক ধরে মাসির বাড়ি পর্যন্ত রথ টেনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাধারমণ।